শামীমুল ইসলাম ফয়সাল ;
উখিয়ার জালিয়াপালংয়ের ইউপি সদস্য কামাল হোসেন দুর্জয়ের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার (১১ জুলাই) নিহত কামাল হোসেনের ছোট ভাই সাহাব উদ্দিন বাদী হয়ে উখিয়া থানায় মামলা দায়েরের বিষয়টি জানান উখিয়া থানার ওসি আরিফ হোসেন।
ওসি বলেন, মামলার এজাহারে ৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে আরো ৫/৬ জনকে।
মামলার এজাহারে দেখা গেছে, প্রধান আসামী করা হয়েছে জালিয়াপালংয়ের ৯ নং ওয়ার্ডের মৃত গোলাম শরিফের ছেলে আব্দু রহিম (৪১) কে। অন্যান্যরা হলেন- মনখালীর মৃত রহমত শরিফের তিন পুত্র তোফাইল আহমেদ, জুহুর আহমেদ চৌধুরী ও জহির আহমদ, মনখালীর ৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ও বিএনপিনেতা সোলতান মেম্বারের ছেলে শরিফুল হক সাগর, প্রধান আসামী আব্দু রহিমের ভাই নুরুল বশর, আব্দুর রহিমের ছেলে শরিফুল ইসলাম নাহিদ, মনখালীর শাহ আলমের ছেলে রিদোয়ান।
আসামীদের মধ্যে জুহুর আহমেদ চৌধুরী উখিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
নিহত কামাল হোসেনের ছোটভাই সাহাব উদ্দিন জানান, এর আগেও তাঁর ভাই জসিম হত্যার সাথে এরা জড়িত ছিলো, জসিম হত্যার বিচার না হওয়া এবং আসামীদের প্রকাশ্যে চলাফেরার কারণে আবারো এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তাঁরা।
উখিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ আরিফ হোছাইন বলেন, আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
গত ৬ জুলাই রাতে উখিয়ার মনখালীর বাড়ি থেকে ফার্মেসীতে যাওয়ার জন্য বের হন স্থানীয় ইউপি সদস্য কামাল হোসেন। পরদিন ৭ জুলাই সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ির দক্ষিণ পাশের একটি ডোবায় স্থানীয়রা তাঁর মরদেহ দেখতে পেয়ে পরিবারকে খবর দেয়। পরে পরিবারের সদস্যরা গিয়ে মরদেহ সনাক্ত করে।
কামাল হোসেন দুর্জয় উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন, ২০২১ সালের ইউপি নির্বাচনে জালিয়া পালং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন, তার পিতা ছিদ্দিক আহমেদ সওদাগরও একই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছিলেন।
Leave a Reply