
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
জাতীয় ইতিহাসের গৌরবময় দিন মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী টেকনাফ উপজেলার উদ্যোগে হোয়াইক্যং ইউনিয়ন ও হ্নীলা ইউনিয়নের যৌথ আয়োজনে এক তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা সভা ও বিজয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) এই বিশাল সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে জামায়াতে ইসলামীর বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও স্থানীয় জনগণ অংশগ্রহণ করেন।
মাওলানা গিয়াস উদ্দিন নিজামীর সঞ্চালনায় এবং মাওলানা রফিক উল্লাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে বিজয় দিবসের চেতনা ও রাষ্ট্র পরিচালনার দায়বদ্ধতা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন উখিয়া–টেকনাফ সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী, অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জনাব অ্যাডভোকেট শাহ জালাল চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন অধ্যক্ষ নুরুল হোছাইন ছিদ্দিকী।
প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী তাঁর বক্তব্যে বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর অতিক্রান্ত হলেও এদেশের মানুষ আজও বৈষম্য, বঞ্চনা ও বেকারত্বের শিকার। তিনি জোর দিয়ে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা ছিল শোষণমুক্ত ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা। তিনি অঙ্গীকার করেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে এই বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণ এবং ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হবে।
প্রধান বক্তা অ্যাডভোকেট শাহ জালাল চৌধুরী বলেন, বিজয় দিবসের চেতনাকে অর্থবহ করতে হলে দুঃশাসন, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি দেশের মুক্তির জন্য রাজনৈতিক সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বিশেষ অতিথি অধ্যক্ষ নুরুল হোছাইন ছিদ্দিকী বলেন, বিজয় দিবসকে কাজে লাগিয়ে দেশ থেকে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের রাজনীতি চিরতরে উৎখাত করতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, বিজয়ের প্রকৃত মর্যাদা তখনই রক্ষা পাবে, যখন রাষ্ট্র পরিচালনায় সততা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠিত হবে।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন মাওলানা ফোরকান আহমদ, ইব্রাহিম খলিল, মোহাম্মদ তারেক, মোহাম্মদ হোছাইন, জায়নত উল্লাহ, মাওলানা মোস্তাক আহমদ, মোহাম্মদ জুবাইর, ছৈয়দ আহমদ তারেক, মীর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, জহির আহমেদ, মাওলানা বদিউল আলম, মোহাম্মদ ইয়াকুবসহ স্থানীয় ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ এবং বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।
সমাবেশটি মহান বিজয় দিবসের চেতনাকে ধারণ করে একটি ন্যায়ভিত্তিক, বৈষম্যহীন ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় ঘোষণা করে সফলভাবে সমাপ্ত হয়।
Leave a Reply