1. akfilmmultimedia@gmail.com : admin2020 :
  2. teknafchannel71@gmail.com : teknaf7120 :
বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১১:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
টেকনাফের শামলাপুরে দুই রো’হিঙ্গা মিলে কোটি টা’কার ই’য়াবা’র চালান ছি’নতাই! র‌্যাব পরিচয়ে অপহরণ: এখনও অধরা চক্রের প্রধান ‘নবি হোসেন -শাহ আলম জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শুরু আজ এক বছরে সম্পূর্ণ কোরআন হিফজ হাবিব  ছাত্রদল নেতার ইয়াবা লুট : ভাগাভাগি করে নেন ২৩ নেতাকর্মী নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জন্মদিন আজ অ’বৈধভাবে মিয়ানমারে পা’চারকালে ৪৩০ বস্তা সার ও ৬’শ বস্তা আলু’সহ ১৩ পা’চারকারী আ’ট’ক  হ্নীলার মানুষ কে পানি*বন্দী থেকে বাঁচা*নোর জন্য খাল খননের প্রস্তাব ইউএনও কে জানালেন চেয়ারম্যান মোঃ আলী  জাতীয় নাগরিক পার্টি (NCP) টেকনাফ উপজেলা ইউনিট গঠনে সদস্য আহ্বান ||টেকনাফ ৭১ বিজিবির অ’ভিযানে জালের ভিতর মিললো ১লাখ ২০হাজার ই’য়াবা, দুই মি’য়ানমারের পা’চারকারি আ’টক 

কারাগার থেকে বের হয়ে জমজমাট ইয়াবা ব্যবসা আবু ছৈয়দ ভুলু ও তার ছেলে আবু রায়হান সিন্ডিকেট 

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ১৯ আগস্ট, ২০২১
  • ৩০০ বার পড়া হয়েছে

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন,রামু

রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন (৫) নম্বর ওয়ার্ড নাদের পাড়ায় আবু ছৈয়দ ভুলু ও তার ছেলে আবু রায়হান দুইজনের ইয়াবা সিন্ডিকেট বেপরোয়া!পুরো উপজেলাবাসী প্রশ্নবিদ্ধ।

বেকার যুবক থেকে এত টাকার মালিক কিভাবে নীতি নৈতিকতা বিহীন ব্যবহার করেছে রাজনৈতিক নেতা।
মরণব্যাধি করোনাভাইরাস নামক মহামারিতেও থেমে নেই প্রাণঘাতী ইয়াবা। মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো ট্যালারেন্সের মধ্যেও থামানো যাচ্ছে না কিছুতেই। মায়ানমার সংলগ্ন সীমান্ত জেলা কক্সবাজারে রয়েছে দেশের যে কোন জেলার চেয়ে মাদক ক্রেতা বিক্রেতার হিড়িক। কক্সবাজারের আট উপজেলার মধ্যে রামু উপজেলাটিও তার ব্যতিক্রম নয়। রামুর স্হানীয় প্রশাসন চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আটক করতে সম্ভাব্য স্থান গুলোতে হানা দিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।

তবে গভীর জলের মাছ হয়ে গোপনে সি এন জি গাড়ির ড্রাইভার সেজে ইয়াবা ব্যবসা করে রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছে এমন কিছু লোকজন।

তারই ধারাবাহিকতায় আবু ছৈয়দ ভুলু ও তার ছেলে আবু রায়হানসহ তাদের পরিবারটি সিন্ডিকেট করে রমরমা ইয়াবা বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘদিন যাবৎ।বেশ কিছু মাস পূর্বে আবু ছৈয়দ ভুলু ( ১০০০০) লিটার দেশীয় তৈরি বাংলা মদসহ রামু থানা পুলিশ এর হাতে আটক হয়। কিন্তু ভুলু আটক হলেও সি এন জি গাড়ির ড্রাইভার সেজে তার ছেলে আবু রায়হান ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যায়।

অনুসন্ধানে যায়,রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের (৫) নম্বর ওয়ার্ড নাদের পাড়ার হাজি কবির আহমদের পুত্র আবু ছৈয়দ ভুলু ও আবু রায়হান শুরুর দিকে স্থানীয় ইয়াবা ব্যবসায়ীদের ডিপ ফ্রিজ(পায়ুপথে) ইয়াবা চালান পাচারের মধ্যদিয়ে ইয়াবার লাল দুনিয়ায় প্রবেশ করে। এক পর্যায়ে ইয়াবা নিয়ে ঢাকা যাওয়ার পথে লোহাগড়া থানা পুলিশের হাতে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ আটক হয়।

দীর্ঘদিন কারাভোগ করে জামিনে ছাড়া পায়।জেল থেকে বাহির হয়েও মাদক কারবারি রায়হান ও তার বাবা ভুলুর পৃষ্টপোষকতায় আবারও মাদক ব্যবসা শুরু করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে,বিগত ৩ বছর আগেও বেকার যুবক হিসেবে পরিচিত ছিলো আবু ছৈয়দ ভুলু ও তার ছেলে আবু রায়হান। ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় সি এন জি গাড়ির ড্রাইভারি করলেও আর্থিক ভাবে তেমন কোন স্বচ্ছলতা আসছিল না কিছুতেই। মাত্র ২/৩ বছরে লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক ও একদিক গাড়ির মালিক বনে যাওয়ায় এলাকাজুড়ে কানাঘুষা সহ স্থানীয়দের মুখে মুখে আলোচনার শীর্ষে আসে এই সহোদর দ্বয়ের নাম।

গোপন সূত্রে জানা গেছে,তার ছেলে আবু রায়হানের মাধ্যমে সিন্ডিকেট করে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে এই পরিবার। টাকা বিনিয়োগ করে যাচ্ছে ভুলু আর ব্যবসার নিয়ন্ত্রনও তার হাতে।সে ব্যবসায় স্থানীয় ভাবে তার ছেলে আবু রায়হান এলাকার একাধিক বেকার যুবকদের আর্থিক অভাবের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তাদের মাধ্যমে ইয়াবা পাচার করে আসছিলো। এভাবে চক্রটি দ্বীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে নিয়মিত।

তাদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে একটি স্টাটাস দেওয়ার কারণে ইয়াবা কারবারি ভুলু ও তার ছেলে আবু রায়হান। সাংবাদিকদকে হুমকি এই বিষয়ে অবগত করতে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কল দিয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি বিবেচনা করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। সচেতন মহলের অভিমত ও স্হানীয়দের দাবি ইয়াবা ব্যবসা রোধে এসব চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আওতায় আনা না গেলে সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনার মিশন বাস্তবায়ন কিছুতেই সম্ভব না।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর
error: Content is protected !!