নুরুল আলম, টেকনাফ
১৪ জন ওয়ারিশের পৈতৃক সম্পত্তি ১১জনে দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখল করে আসছে, এতে বঞ্চিত রয়েছে একই পরিবারের আরো ৩ জন। এই বঞ্চিত তিন জন দীর্ঘদিন ধরে পৈতৃক সম্পত্তি পাওয়ার আসায় বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় প্রশাসন ও মহামান্য আদালতে দারস্থ হয়ে ও ১১জন ওয়ারিশদারগণ প্রভাবশালী হওয়ার কারণে বারংবার বঞ্চিত হয়ে আসছে। বঞ্চিত ওয়ারিশদের সূত্রে জানাযায়, টেকনাফ পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে কে কে পাড়ার বাসিন্দা মরহুম আয়ূব আলী সওদাগর দীর্ঘ দিন আগে মৃত্যু বরণ করেন। তার মৃত্যু হওয়ার পর ২ স্ত্রী ৮ পুত্র ৪ মেয়ে সহ মোট ১৪ জন অলি ওয়ারিশ রেখে যান। তার মৃত্যু হওয়ার পর অস্থাবর সম্পত্তি ছাড়াও ৬ একর ৬৪ শতক জমি রেখে যান। তত মধ্যে মুসলিম ফরায়েজ অনুযায়ী এক স্ত্রী পায় ১২৪ কড়া, এক মেয়ে পায় ১২৪.৫ কড়া ও এক ছেলে পায় ২৪৯ কড়া। বঞ্চিতের মধ্যে রয়েছে মরহুমের দ্বিতীয় স্ত্রী কুলসুমা বেগম মেয়ে সখিনা বেগম ও হাসিনা বেগম প্রমূখ। মরহুমের এই সমস্ত জমিজামা দীর্ঘদিন ধরে মরহুমের দুই পুত্র মোহাম্মদ আলী ও আশরাফ আলী চল-চাতুরী করে মূল্যবান সম্পত্তি গুলো তাদের অধীনে আবার কোন কোন ক্ষেত্রে ভূয়া নাম সৃজন করে অতিরিক্ত সম্পত্তি ভোগ দখল নেয়ার ও গুরুত্বর অভিযোগ রয়েছে।
এ দিকে, মোহাম্মদ আলী ও আশরাফ আলী গং চল-চাতুরী অপরাপর ওয়ারিশদারকে বঞ্চিত করে টেকনাফ পৌরসভার মরহুম আয়ূব আলী সওদাগরের সম্পত্তি যাথাক্রমে আবাসিক হোটেল আল করম ও উপরের বাজারের আয়ূব আলী মার্কেট সহ মূল্যবান সম্পত্তি গুলো দখলে রাখার অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এরে মধ্যে অপরাপর ওয়ারিশগণ তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় বিচার শালিশ ও আদালতে মামলা দায়ের করলেও আপোষে এসে কিছু দিনের জন্য ছেড়ে দেয়। আবার মাস পেরোতেই না পেরোতে তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে পূর্ণ দখলে নিয়ে নেয়।
বর্তমানেও টেকনাফ পৌরসভার বাস স্টেশন এলাকায় বিচার শালিশের মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হোটেল আল করম আবার পূর্ণ দখলে নিয়েছে। এইভাবে চলছে মরহুম আয়ূব আলী সওদাগরের পুত্র মোহাম্মদ আলী ও আশরাফ আলী কৃর্তকান্ড।
এই ব্যপারে বঞ্চিত তিন ওয়ারিশ ও অপরাপর ওয়ারিশগণ আশরাফ আলী, মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আইন প্রয়োগ কারী সংস্থা, স্থানীয় প্রশাসন ও আইন মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, মরহুম আয়ুব আলী সওদাগরের পুত্র মৌবলী আশরাফ আলী বলেন, আমাদের তিন বোনকে পৈতৃক সম্পত্তি দিতে ছেয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাদেরকে বিভিন্ন সময় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে হয়রানি করেছিল। পরে তারা মহামান্য আদালতে মামলা দায়ের করছেন। যা আদালতে বিচার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ ছাড়া যে সমস্ত ওয়ারিশগণ আমাদের রিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তা মহামান্য আদালতে প্রমান হবে।####
Leave a Reply