নিজস্ব প্রতিনিধি,
টেকনাফ পৌরসভার জালিয়া পাড়াস্হ চিংড়ি ঘের এলাকায় দূর্বৃত্তদের হামলায় পাহাড়াদার সাদ্দাম হোসেন (২৭) নামে এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছে।
শুক্রবার (২২ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে প্রকাশ্যে দূর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ন্যাক্কারজনক এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে মর্মে আহত সাদ্দাম বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করছেন, অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মৌলভী পাড়ার সুলতান আহমদের ছেলে মোঃ ইয়াছিন এর চিংড়ি মাছের প্রজেক্টে দীর্ঘ ৫ বছর ধরে পাহাড়াদার হিসাবে চাকুরি করে আসতেছি।
গতকাল শুক্রবার রাতে টেকনাফ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের জালিয়া পাড়া মো. ইয়াছিনের মালিকানাধীন চিংড়ি মাছের প্রজেক্টে ১নং বিবাদী আয়ুব ও ৮নং বিবাদী মো. আব্দুল্লাহ এর নেতৃত্বে চিংড়ি প্রজেক্টে ঢুকে মাছ ধরার সময় চিংড়ি মাছসহ তাদেরকে হাতে নাতে ধরে ফেলা হয়। এরপর ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন বিষয়টি মীমাংস করে দেন।
পরবর্তীতে উক্ত বিবাদীদ্বয়সহ অন্যান্য বিবাদীগণ আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ২নং বিবাদী মো. এনামের হুকুমে ৭নং বিবাদী বিবাদী মিয়া ইলু মিয়া তার হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে গুরুতর জখম করা হয়। এসময় আমি মাটিতে লুঠিয়ে পড়লে আমাকে বাঁচানোর জন্য আশপাশের লোকজন এগিয়ে উক্ত বিবাদীগণ লাঠি-সোটা নিয়ে তাদেরকেও হুমকি ও ভয়ভীত প্রদর্শন করে প্রক্যাশ্যে বীর দর্পে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এসময় পকেট থাকা নগদ ৫ হাজার টাক, ব্যবহৃত ১টি মোবাইল ফোন (যার মূল্য ১২ হাজার টাকা) জোর পূর্বক নিয়ে যায়। পরে আমাকে লোকজন এগিয়ে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেন।
তিনি আরো জানান,সন্ত্রাসী হামলাকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। বর্তমানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছি।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাফিজুর রহমার বলেন, এ ঘটনার বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply