আব্দুল মালেক নাঈম, কক্সবাজার
কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আই এল,ও. এর যৌথ উদ্যোগে আয়োাজিত স্থানীয় ব্যাংক কর্মকর্তা এবং ক্ষুদ্র মাঝারি উদ্যোক্তাদের মধ্যে কভিড-১৯ প্রণোদনা প্যাকেজ নিয়ে মতবিনিময় সভা মহেশখালী উপজেলার কমপ্লেক্স মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্সে এন্ড ইন্ডাষ্ট্রী’র সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহেশখালী উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ সাইফুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিনুয়ারা বেগম, কুতুবজুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট শেখ কামাল, মহেশখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল বশর পারভেজ এবং চেম্বার পরিচালক আজমল হুদা। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত নারী উদ্যোক্তা সহ উপস্থিত অন্যান্য ক্ষুদ্র-মাঝারি উদ্যোক্তাগণ বলেন ব্যাংকের ঋণ নিতে গেলে ট্রেড লাইসেন্স যেহেতু বাধ্যতামূলক মহেশখালীতে বর্তমানে ট্রেড লাইসেন্স পাওয়াটা অত্যন্ত দুরূহ ব্যাপার, ফলশ্রুতিতে সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ প্রাপ্তির সুযোগ থেকে তারা অনেকে বঞ্চিত। অনেকে বলেন জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধের কারণেও অনেকেই ট্রেড লাইসেন্স পাচ্ছে না। ৯৫ শতাংশ ক্ষুদ্র মাঝারি উদ্যোক্তাগণ প্রণোদনা প্যাকেজ সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই। সভায় উপস্থিত সোনালী, পূবালী, কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তাগণ বলেন প্রণোদনা প্যাকেজের বরাদ্দ উনারা শতভাগ পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে। স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন আগামী বছর থেকে ওনারা ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের মধ্যে ঋণ বিতরণ শুরু করবেন। ব্যাংক কর্মকর্তাগণ বলেন উদ্যোক্তাদের ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য ট্রেড লাইসেন্স সহ কিছু মৌলিক কাগজপত্রের প্রয়োাজন। উদ্যোক্তাগণ তা পূরণ করতে না পারায় অনেকেই সহজশর্তে স্বল্প সুদে ঋণ নিতে পারছে না। স্থানীয় নারী উদ্যোক্তা সবিতা দাশ বলেন আমরা ঘরে বসে শুধু সেলাই কাজ করি সুযোগ এবং প্রশিক্ষণ পেলে আমরা বাজার চাহিদা অনুযায়ী এর সম্প্রসারণ করতে পারি। প্রধান অতিথি মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ যাতে সহজে স্থানীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের পেতে পারেন সে জন্য ব্যাংকারদের আরো আন্তরিক হতে হবে। স্থানীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ট্রেড লাইসেন্স পেতে পারে সেজন্য উনি সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করার আশ্বাস দেন। প্রেসক্লাবের সভাপতি বলেন মহেশখালী মাতারবাড়িকে ঘিরে অর্থনৈতিক অঞ্চল সহ নানান অবকাঠামোগত উন্নয়নের ফলে অনেক প্রান্তিক জনগোষ্ঠী তাদের জীবন-জীবিকার মাধ্যম লবণের মাঠ সহ বসতভিটা হারিয়েছেন তাদের জন্য সরকারি এবং জেলা চেম্বারে অফ কমার্স এর সহযোগিতা প্রয়োজন। মত বিনিময় সভার সভার প্রধান আবু মোর্শেদ চৌধুরী বলেন মহেশখালী মাতারবাড়িকে ঘিরে সরকার যে অর্থনৈতিক কর্মযজ্ঞ হাতে নিয়েছে হতে গেলে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের আরোও যুগোপযোগী উপযুক্ত করে তুলতে হবে। অন্যথায় ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক প্রতিযোগীতায় ছিটকে পড়বে। সরকারের উচিত হবে এই মুহূর্তে মেগা প্রকল্পের অঞ্চলের চাহিদা অনুযায়ী মহেশখালীতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা, যাতে অত্র এলাকার সুবিধাবঞ্চিত জনগণ নিজেদের অর্থনৈতিক মহা কর্মযজ্ঞের অংশীজন হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন। তিনি আরও বলেন ২০৪১ সালে জ্ঞানলব্ধ সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে নারীদের অর্থনৈতিক কর্মকা-ে সম্পৃক্ত করা সময়ের দাবি। কক্সবাজার চেম্বার অফ কমার্স এর এই বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা থাকবে।
Leave a Reply