1. akfilmmultimedia@gmail.com : admin2020 :
  2. teknafchannel71@gmail.com : teknaf7120 :
বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৫:১৫ অপরাহ্ন

টেকনাফে ট্রাফিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, টু-পাইস ও মাসিক মাসোহারায় ব্যস্থ ট্রাফিক

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ১ মার্চ, ২০২২
  • ৩২৮ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিবেদক,টেকনাফ

কক্সবাজার সীমান্ত উপজেলার টেকনাফ পৌর সভার ট্রাফিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। অসহনীয় দূভোর্গ পোহাতে হচ্ছে যাত্রী সাধারণের। সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত সড়কে যানযট লেগেই থাকে।

ট্রাফিক পুলিশের কোন দেখাই মিলেনা। তারা থাকে সারাক্ষণ বিভিন্ন যানবাহন পিছনে চাঁদা আদায়ে ব্যস্ত থাকে বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানায়। চোখের সামনে আইন অমান্য করে চলছে বিভিন্ন অবৈধ যানবাহন। পৌর শহরের মধ্যে দিনের বেলায় যানবাহন ঢোকার অনুমতি নেই, এমন গাড়িও দিনের বেলায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শহরে। লক্কড়-ঝক্কর রঙচটা, ফিটনেস বিহীন যানবাহন গুলো ঠিকই চলছে টেকনাফ পৌর শহরে। যেখানে-সেখানে যত্রেতত্রে অবৈধ পার্কিং করা হচ্ছে বাস, ট্রাক, সিএনজি,ডাম্বারসহ বিভিন্ন যানবাহন ইত্যাদির।

এসবের দিকে নজর নেই ট্রাফিক পুলিশের। ট্রাফিক সার্জেন্টদের একমাত্র টার্গেটই যেন মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পণ্যবাহী যানবাহন আটক করে টু-পাইস নেওয়া। কেন না বাকি যানবাহন থেকে মাসিক লাখ লাখ টাকা মাসোহারা পেয়ে থাকে। এ যানবাহন গুলো ও গাড়ির চালক বড় ধরনের অপরাধ করলেও কিছুই হয় না।

সুত্রে জানা গেছে, টেকনাফ পৌরসভায় চলাচলরত ছোট ছোট যানবাহনের ৮০ শতাংশ গাড়ির লাইসেন্স, ডাইভিং লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন নেই। এদের একমাত্র ভরসা মাসিক চাঁদা দিয়ে যানবাহন চালানো। এ মধ্যে রয়েছে ইজিবাইক, সিএনজি, মাহিন্দ্রা, মাইক্রো, নোহা, ছাড়পোকা,দোয়েল কার, ডাম্বার ইত্যাদি। এ ছাড়া যে সমস্ত ট্রাক, যাত্রীবাহী বাস, কাভার্ড ভ্যান, পণ্যবাহী গাড়ী টেকনাফ যাতায়াতের সময় গুনতে হয় ট্রাফিকদের মোটা অংকের চাঁদা। সড়কের মধ্যে অসহনীয় যানজট হলেও ট্রাফিকেরা এ-ই দিকে নজর দেয় না বলে যাত্রী সাধারণ জানান।

লক্কড়-ঝক্কর মহানন্দা, গেটলকসহ বিভিন্ন পরিবহন সচল রাখতেও মাসিক চাঁদা পৌঁছাতে হয় ট্রাফিক অফিসে। ফিটনেসবিহীন বাস ও ট্রাক থেকে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা চাঁদা উঠিয়ে নিয়ে যায় ট্রাফিক পুলিশের টেকনাফে কর্মরত এটিআই খোরশেদ। সুত্রে আরও জানায় টেকনাফ পৌর শহরে ছোট-বড় যানবাহন থেকে মাসিক ৩/৫’শ টাকা করে মোট ১০ লক্ষাধিক টাকা উর্ধে চাঁদা আদায় করে থাকে। সচেতন মহলের অভিমত এই বিপুল পরিমাণ টাকা যায় কোথায় ?

এসব ছাড়াও বাস টার্মিনাল, সড়ক-মহাসড়ক দখল, বাস-মিনিবাস, সিএনজি, মাহিন্দ্রা, নসিমন থেকে মাসোহারা হিসেবে প্রতি মাসে আরও কয়েক লাখ টাকা চাঁদা পায় ট্রাফিক পুলিশ। এসব সমিতির মাধ্যমে চাঁদার টাকা পৌঁছে যাচ্ছে ট্রাফিক অফিসে।

এছাড়াও ট্রাক মালিক সমিতির কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ চাঁদা নেয় ট্রাফিক বিভাগ। শহরের রড-সিমেন্ট ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও নিয়মিত চাঁদা নেয় ট্রাফিক পুলিশ। সিএনজিস্ট্যান্ড, মাহিন্দ্রা, মাইক্রোস্ট্যান্ড ও বাঁশের গাড়ি ও বাঁশ ব্যবসায়ীদের কাছ প্রতিনিয়ত চাঁদা নেয় বলে প্রত্যক্ষদর্শী ও ব্যবসায়ী সুত্রে জানা যায়।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে টেকনাফ ট্রাফিক জোনের ইন্সপেক্টর ফারুক আল মামুন ভুইয়া যায়যায়দিন কে জানান, অভিযোগে বিষয়ে আমরা কোন মন্তব্য নেয়। প্রতিবেদকের সাথে হেসে মোবাইল ফোন কেটে দেয়।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর
error: Content is protected !!