1. akfilmmultimedia@gmail.com : admin2020 :
  2. teknafchannel71@gmail.com : teknaf7120 :
বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৪৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
দিন দিন নিধন হচ্ছে ঝাউবন হুমকির মুখে টেকনাফের উপকূলীয় অঞ্চল  জমি বিরোধের জেরে পরিকল্পিত ভাবে রাসেদকে হত্যার অভিযোগ  গহীন পাহাড়ে যুবকের অর্ধগলিত লাশ আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় সঠিক তথ্য সেবার বিকল্প নেই প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ পুলিশের এআইজি পদে পদোন্নতি পেলেন টেকনাফের কৃতি সন্তান সাইফুল্লাহ হোয়াইক্যং ও হ্নীলা নিকাহ্ রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব কাজী মুহাম্মদ নুরুল হক – জেলা রেজিস্ট্রার গোটা দেশ স্বৈরচারের কাছে অবরুদ্ধ ছিল টেকনাফে কর্মী সম্মেলনে: মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান থানা থেকে পালিয়েছেন ওসি টেকনাফে ২০২৫ তারুণ্যের উৎসব ও বর্ণাঢ্য র‌্যালি উদযাপন

দুঃখ-কষ্ট আড়াল করে পুলিশ খুশি রাখে পরিবারকে — রহমত উল্লাহ ||টেকনাফ ৭১

  • আপডেট সময় : বুধবার, ৪ মে, ২০২২
  • ৩৫৩ বার পড়া হয়েছে

দুঃখ-কষ্ট আড়াল করে পুলিশ খুশি রাখে পরিবারকে

বাবা সবার বাবা, আসে শুধু আস না আপনি? পুলিশ।

আড়ালের কান্না আড়ালেই থেকে যায় আজীবন।।
জীবনের সোনালী দিনগুলো এভাবেই চলে যায়!!

রহমত উল্লাহ, টেকনাফ থেকে

ভাই পুলিশতো পুলিশই,পুলিশের আবার ঈদ কিসের
পুলিশের কোনো ঈদ নাই।পুলিশ তো আসলে মানুষই।

পুলিশের ছুটি আছে! এক বছরে ২০ দিন নৈমিত্তিক ছুটি পায় পুলিশ।। কিন্তু এই ২০ দিন ছুটি ভোগ করার সৌভাগ্য দুই লাখ পুলিশ সদস্যের কখনও হয় না।। ছুটি পাওয়া যায় বছরে ১০ থেকে ১৫ দিন। বাকি ছুটির দিনগুলো ঠিকঠাক পালনই করা যায় না।। তাদের।।

এবারের ঈদুল ফিতরের অনেক পুলিশ ছুটি পায়নি। বুকের ভেতরটা ছটফট করলেও যেতে পারেনি আপন রক্তের টানে। ঈদের নামাজ শেষ করেই একবুক কষ্ট নিয়ে সবাই বেরিয়ে পড়েছি ডিউটিতে এমন কষ্টের কথা শেয়ার করলেন, টেকনাফ থানার এএসআই Md Matin রাত যখন ঠিক একটা সিএনজি নিয়ে ডিউটি করে দুজন কনেস্টেবল নিয়ে। দীর্ঘ নিঃশ্বাস নিয়ে বলে,ভাই আমার বাড়িতে থাকা ৭ বছরের অভিমানী মেয়েটি বলে, বাবা সবার বাবা আসে বাড়িতে ঈদ করতে শুধু আস না আপনি! মেয়েটি বুঝে না- মিথ্যার আড়ালে তাদের খুশি রাখতে হয়- এটাই পুলিশের জীবন। দুঃখ-কষ্ট আড়াল করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

পুলিশ পোশাকে নিবিড় নজরদারির দায়িত্ব পালন করছেন। স্ত্রী, সন্তান আছেন গ্রামের বাড়িতে। অভিমানী সন্তানকে কীভাবে মানাবেন, তা জানেন না তিনি।।

সবার মতো তারও স্বজনের জন্য মায়া আছে, আছে কাছে যাওয়ার আকুতি, আছে একসঙ্গে বসে ভালো কিছু খাওয়ার বাসনা; কিন্তু কী আর করা,পেশাটাই এমন যে, এখানে আবেগের কোনো স্থান নেই।।

-এরকম হাজার গল্প পুলিশ সদস্যের রয়েছে-

পুলিশের শরীরের ঘামের মূল্য দেয়ার সামর্থ্য কারও নেই। বাংলাদেশ পুঊৎঊলিশ এখন যে অবিচল আস্থার ওপর দাঁড়িয়ে আছে, এভাবে দাঁড়িয়ে থাকলে অনন্তকালে পুলিশের চেয়ে কেউ এগিয়ে থাকবে না। অনেক দুঃখ-কষ্ট আড়াল করে পুলিশ খুশি রাখে পরিবারকে, খুশি রাখে ডিপার্টমেন্ট।অভিমানী মেয়েটিও ততদিনে বুঝে যায় এটাই পুলিশের জীবন। পুলিশের শরীরের ঘামের মূল্য দেয়ার সামর্থ্য কারও নেই। বাংলাদেশ পুলিশ এখন যে অবিচল আস্থার ওপর দাঁড়িয়ে আছে, এভাবে দাঁড়িয়ে থাকলে অনন্তকালে পুলিশের চেয়ে কেউ এগিয়ে থাকবে না। অনেক দুঃখ-কষ্ট আড়াল করে পুলিশ খুশি রাখে পরিবারকে, খুশি রাখে ডিপার্টমেন্ট।

শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা ও প্রগতির মূলমন্ত্রে দীক্ষিত বাংলাদেশ পুলিশের সেবাকে অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রতিরোধ যোদ্ধা এবং করোনাকালীন সম্মুখযোদ্ধা বাংলাদেশ পুলিশের অকুতোভয় সদস্যদের চব্বিশ ঘণ্টার সতর্ক চোখ আর চেষ্টাতেই জনসাধারণের স্বাভাবিক আর নিরাপদ জীবন যাপন সম্ভব। আর এ কারণেই সবার মতো ঈদ-পার্বণ আসে না পুলিশের জীবনে।এটাই বাস্তব।।

ঈদ মানে আনন্দ। ঈদ মানে খুশি। চিরাচরিত এই উক্তি সর্বজনীন। ঈদের এমন আনন্দ এখন ঘরে ঘরে হলেও কিছু মানুষের নেই কোনো ফুরসত। মেলে না ছুটি। উৎসব আনন্দে শামিল হতে পারেন না তারা। পেশাগত দায়িত্ব পালনেই তত্পর থাকতে হয়। পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব সবাই যখন ঈদের খুশি ভাগাভাগিতে ব্যস্ত, পেশাগত কারণে দায়িত্বের বোঝা মাথায় নিয়ে কিছু মানুষ থাকে উৎসব-আনন্দের ঊর্ধ্বে। কর্মস্থলে থেকে তাদের দায়িত্ব পালন করতে হয় ঈদের দিনও।।

একজন ট্রাফিক পুলিশ কিংবা একজন ট্রাফিক সার্জেন্টের কথা ভাবেন তো। রাস্তাতেই জীবন তাদের কি রোদ কি বৃষ্টি! আপনি আমি ডিউটির ফাঁকে একটু চা খাই।এক আধটু আরাম করি। কিন্তু ট্রাফিক পুলিশের কথা ভাবুন তো। বিন্দু পরিমাণ এদিক ওদিক করার সময় নাই তাদের। সুযোগ নাই প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ারও!এটাই দেশ প্রেম নিয়োজিত থাকা মানুষ।

পরিবারের ভালোবাসা বঞ্চিত পুলিশ সদস্যরা দেশকে ভালোবেসে ঈদ আনন্দ উপভোগ করেন।###

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর
error: Content is protected !!