নিজস্ব প্রতিবেদক
টেকনাফের মধ্য হ্নীলা নাছর পাড়া এলাকায় চলাচলের রাস্তা বন্ধ রাখায় দির্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ে যেতে পারছেন আব্দুল গফুর ও আব্দুর রহিম সহোদরের ৫ জন ছেলে মেয়েরা। এমন অবস্থা বহাল থাকলে কোমলমতি শিশুদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হবে বলে ধারণা করেছেন সচেতন মহল। শুধু তাই নয় রাস্তা বন্ধের কারণে নিত্যনৈমিত্তিক পারিবারিক প্রয়োজনিয় চাহিদা ও চিকিৎসার জন্য বের হতেও পারছেন না ওই পরিবারের কোন সদস্য বলে অভিযোগ করেছেন হাজী নুর আহাম্মদ । যা দেখলে মনে হবে সম্পূর্ণ গৃহবন্দির মত । ওই জায়গায় যে মানবতা হারিয়ে গেছে তাহার বাস্তবচিত্রের সরোজমিনে না গেলে বোঝা কঠিন । তাই কোন প্রকারে শিক্ষার্থীরা যেন বিদ্যালয়ে যেতে পারে সে সহযোগিতা করে দেওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি জোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ৫ অবুঝ শিক্ষার্থীরা ।
এ বিষয়ে মৃত আবদুল জলিলের পুত্র হাজী নুর আহাম্মদ জানান, মৃত আবদুর রশিদের পুত্র দানু মিয়ার গং এর নেতৃন্তে ১০/১১ জন ভূমিদস্যু আমার পৈত্রিক সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করে আমার ছেলে মেয়েদের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে । যার কারণে আমি কক্সবাজার আদালত সহ টেকনাফ মডেল থানায় একাধিকবার বিবাদীদের বিরুদ্ধে আইনগত আশ্রয় নিয়েছি । বিবাদীরা সন্ত্রাসী হওয়ায় কোন প্রকার দেশের প্রচলিত আইন কে তোয়াক্কা না করে আমার জায়গার ওপর বাড়িঘর ও দালান নির্মাণ করছে যাতে করে রাস্তাটি চির জীবনের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। যে রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছে তা আর এস, বিএস ও নাম জারি সহ সম্পূর্ণ আমার। এছাড়া বিবাদীদের বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় একাধিক মামলা রয়েছে , যাহা জি,আর ৪২৪/১৯, ৬৮৯/১৯, ৭০৮/১৯, ৪৯৩/১৩ইং। শুধু তাই নয় গত ২৫ জুন ২০২০ এ একটি স্ট্যাম্পে সকলের উপস্থিতিতে বাদশা মিয়া
আফসার,আবছার উদ্দিন, দেলোয়ারা বেগম, সর্ব পিতা আফলাতন। শামশুল আলম, দানু মিয়া, উভয় পিতা মৃত আবদুর রশিদ, ইমাম হোসাইন, সাদ্দাম হোসাইন,উভয় পিতা দানু মিয়া। আমির হোসাইন, হমিদ হোসাইন, ও সাইফুল ইসলাম সহ সকলেই একটি স্ট্যাম্পে
আপোষ নামা তে স্বাক্ষর করেছিল। যাহাতে ভবিষ্যতে ওই রাস্তার জমি নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে কোন প্রকার বিরোধ সৃষ্টি না হয়। কিন্তুু বিবাদীরা তাহা কোন প্রকারেই মানছেন না । তাই আমি তাদের বিরুদ্ধে আবারো আইনগত আশ্রয় নিতে চাই ।
উপরোক্ত বিষয়ে বিবাদী ইমাম হোসেনের কাছে জানতে চাইলেই তিনি জানান, এই জমিটি আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি তাই আমরা এখানে বাড়ি নির্মাণ করছি।
Leave a Reply