সাংবাদ দাতা
কক্সবাজার টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বিকাশ এজেন্ট আব্দুর রহমান হত্যা মামলায় ৪জন আমাসি কে রাজনৈতিক হয়রানি করতে প্রতিহিংসা মূলক ভাবে হত্যা কান্ডের মামলায় জড়িত করেছে বলে দাবি করেছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা। তারা হলেন, টেকনাফ সরকারি ডিগ্রি কলেজের ছাত্র ও সাবরাং নয়াপাড়া এলাকার ইব্রাহীম খলীলের পুত্র মোহাম্মদ ইসহাক (২২), একই এলাকার ফিরোজ আহাম্মদের পুত্র বোরহান উদ্দিন (২৫), মৃত মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর পুত্র আলমগীর ফাঁসাল এবং সাবেক মেম্বার মৃত নুর আহাম্মদের পুত্র হাবিবুল্লাহ (৩০)।
তাদের স্বজনদের দাবি , আমরা যতটুকু দেখেছি আব্দুর রহমান হত্যার পর হতে ওই মামলার বাদি কে কৌশলে কিছু আমাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা পরিচালনা করছে। যার সুবাদে তাহারা আমাদের পরিবার কে ধ্বংস করতে ৪জন কে মিথ্যা ভাবে মামলায় জড়িয়ে দেন। অথচ সে রহমান হত্যা কান্ডে তাহারা কোন ভাবে জাড়িত ছিলাম না। রাতের আধারে কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে তাহাদের শনাক্ত না করে উলটো বাদি আমাদের শক্রদের কথা শুনে আমাদের পরিবার কে নিশ্চিহ্ন করতে নিরীহ মানুষ গুলো কে মামলায় জড়িত করেন। এমন অন্যায় থেকে রক্ষা করতে আমরা আদালতে কাছে ন্যায় বিচার কামনা করছি।
এ বিষয়ে নুর আহাম্মদ মেম্বারের (সাবেক) ছেলে মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলীল জানান, প্রকৃত পক্ষে আব্দুর রহমান কে যাহারা হত্যা করেছে তাদের বিচার আমিও চাই। কিন্তুু রহমান হত্যা মামলাকে কিছু ব্যক্তির ইশারায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ কে ঘায়েল করার হাতিয়া হিসেবে ব্যবহার করছে বলে মনে করি। না হয় রহমান হত্যা কান্ডে না থাকার পরও কেন ইসহাক, বোরহান, আলমগীর ও হাবিবুল্লাহরা কেন আসামি হল।
তিনি আরো জানান, ইসহাক একজন কলেজ ছাত্র ও সাবরাং ইউনিয়ন ছাত্রদলের বর্তমান সহ সভাপতি। বাকীরাও পরস্পর বিএনপির রাজনীতির সাথে সংপৃক্ত। সেজন্য আগামী নির্বাচনের আগে আমাদের কে রাজনীতি থেকে ম্যানেজ করতে এই পরিকল্পনায় মেতে উঠেছে স্থানীয় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ।
স্থানীয় সচেতন মহল বলেছেন, রাতের আঁধারে রহমান কে হত্যা করা হয়েছে। সকালে মানুষ বাজারে যাওয়া পথে স্কুলের মাঠের লাশ দেখে তাহার পরিবার কে খবর দেন। কিন্তুু ওই হত্যা কান্ডে প্রকৃত ভাবে যারা জড়িত ছিল তাদের আইনের আওতায় আনা হোক। তবে ওই হত্যা কান্ডে জড়িত নাই এমন নিরীহ ব্যক্তিদের যেন মামলায় না জড়ানো হয় সে কামনা করব।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউনিয়ন বিএনপির নেতা জানান, তাদের সকলে বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত সে টা ঠিক। তবে তারা যদি জড়িত না থাকে তাহলে তাদের হত্যা মামলায় জড়ানো সুন্দর হয়নি বলে মনে করি।
মামলার বাদি জানিয়েছেন, আমার ভাইয়ের হত্যা কান্ডের সাথে জড়িতদের আমি মামলায় অন্তর্ভুক্ত করেছি, যদি তারা নিরপরাধ হয়ে থাকে সেটা আদালতে প্রমানিত হবে।
উল্লেখ্য গত সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে সাবরাং উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশ থেকে আব্দুর রহমানের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
Leave a Reply