নাছির উদ্দীন রাজ, টেকনাফ।
কক্সবাজার টেকনাফের বাহার ছড়া ইউনিয়নের জাহাজ পুড়া এলাকায় খালে মাছ শিকার করতে গিয়ে কলেজ ছাত্রসহ ৮ জন স্থানীয় বাঙালি অপহরণের শিকার হয়েছে। অপহরণের ৪দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো কাউকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। তবে তাদের উদ্ধারে উপজেলার সবকয়টি পাহাড় ঘিরে রেখেছে পুলিশ ও জানতা। উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে প্রায় শতাধিক পুলিশ ও ২০০শতাধিক স্থানীয় জনসাধারণ সহ কয়েকটি টিমে বিভক্ত হয়ে শন্ত্রাসীদের আস্তানা হ্নীলার মরিচ্যাঘোনা, পানখালী, হোয়াইক্যং, উনচিপ্রাং, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শালবাগান, লেদার নুরালী পাড়া, মিনাবাজার, বাহার ছড়ার জাহাজ পুড়া, শামলাপুর ঢালা সহ সব কয়েকটি পাহাড় ঘিরে ফেলে। পাশাপাশি ওই সন্ত্রাসীদের আস্তানায় খাদ্য, পানি সহ বিভিন্ন দ্রব্যাদি সরবরাহকারীদের শনাক্তেও কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানান, সাম্প্রতিক সময়ে পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা এলাকার বিভিন্ন কৃষক ও জনসাধারণ কে অপহরণ করে। পরে নির্মম নির্যাতন করে অপহরণ কারিদের স্বজন দের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকায় মুক্তিপন নিয়ে ছেড়ে দেয়। সে অপরাধীদের ধরতে ওসি মহোদয়ের নির্দেশে আমরা জনসাধারন সহ পুলিশ কে সহযোগিতা করছি।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি আব্দুল হালিম জানান, আমরা এখনো রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শালবাগান গহীন পাহাড়ে আছি, চারদিক থেকে পুলিশ অপরাধীদের ঘিরে রেখেছি, অপহরণ কারিরা উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলমান থাকবে।
এদিকে ৪চার দিন পার হয়ে গেলেও পারিবারের ছেলে সন্তান ও আপনজনেরা বাড়ি ফিরে না আসা বা কোন হদিস না পাওয়ায় উৎকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন অপহরণ কৃতদের স্বজনেরা। আকাশ বাতাস ভারী করে অশ্রুসিক্ত কন্ঠে মহান স্রষ্টার কাছে দিন রাত প্রার্থনা করছেন, কখন তারা ফিরে আসবে। তাদের এক অভিভাবক মমতাজ জানান,অপহরণের এক দিন পরে বাড়িতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলেও এখন আর যোগাযোগও করছেনা! ফলে আমাদের ভয় আরো বেড়েছে। তারা জীবিত আছে কিনা আল্লাহ ভাল জানেন।
উল্লেখ্য রবিবার (১৮ডিসেম্বর) সকালে বাহার ছড়া ইউপির ৬নং ওয়ার্ডের একটি খালে মাছ শিকার করতে গেলে তাদের অপহরণ করে ।
Leave a Reply