“কলঙ্কিত জনপদের অলংকার, টেকনাফের সুমাইয়া মনি এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার”
সাইফুল ইসলাম, টেকনাফ।
প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক (লেকচারার) হিসেবে নিয়োগ পাওয়া সুমাইয়া মনি অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকা টেকনাফের জন্য যেন এক আলোকবর্তিকা! কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার আওতাধীন টেকনাফ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড এর দক্ষিণ জালিয়া পাড়ার সম্ভ্রান্ত পরিবারের আলহাজ্ব জহির আহমদ ও মাতা মরহুমা রহিমা বেগমের ঘরে জন্ম নেয় সুমাইয়া মনি (মনিহার)। ছোটবেলা থেকে পড়ালেখায় অত্যন্ত মনোযোগী ও সদালাপী মেয়েটির আজকের এমন অর্জনে টেকনাফবাসী সত্যিই গর্বিত।
সুমাইয়া মনি ২০০৮ সালে টেকনাফ মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন। ২০১০ সালে উত্তরার মাইলস্টোন কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। ২০১২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগে ভর্তি হন। ২০১৬ সালে অনার্স এ ৩.৯৮ এবং ২০১৭ সালে মাস্টার্সে পান ৩.৯৭ এবং
২০১৭ সালের ২৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদে অনার্সে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে স্বর্ণপদক পান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা অনুষদের অধীনে ২০১৮ সালে ডিন’স এওয়ার্ড পান।
২০১৬ সালে বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশনে বাংলাদেশ থেকে ১০০ জনকে আমন্ত্রণ জানান ভারতের রাষ্ট্রপতি, যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ জন সু্যোগ পান তার মধ্যে সুমাইয়া ছিলেন একজন।
২০১৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০১৯ সালে অক্টোবর মাসে প্রভাষক পদে যোগদান করেন। (সম্পর্কে আমার ভাগিনী)
লেখক, সাইফুল ইসলাম।
সহকারী শিক্ষক, টেকনাফ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
Leave a Reply