নাছির উদ্দীন রাজ, টেকনাফ।
দেশের এক মাত্র প্রাবাল সমৃদ্ধ দ্বীপ সেন্টমার্টিনে আগামীকাল শুরু হচ্ছে চলিত মৌসুমের প্রথম
টেকনাফ -সেন্টমার্টিন নৌ রুটে পর্যটক বাহি জাহাজ চলাচল। ওই দ্বীপটি টেকনাফ থেকে ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে ও মিয়ানমার উপকূল থেকে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে টেকনাফ দমদমিয়া জেটি হতে বার আউলিয়া নামের একটি পর্যটক বাহি জাহাজা কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের একটি প্রতিনিধি টিম নিয়ে পরিক্ষামুলক ভাবে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছেন বলে জানাগেছে।
( নাফ ট্যুরিজম প্লাস এর সাথে সেন্টমার্টিনে যেতে যোগাযোগ করুন – 01851929658 )
জাহাজ চলাচল শুরুর হচ্ছে এমন খবরে দ্বীপের মানুষের মাঝে যেমন ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্য তেমনি দিন – রাত পরিশ্রম করে নিজ নিজ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান গুলো নতুন করে সাজগোজে ব্যস্ত হোটেল, রেস্তোরাঁ, চায়ের দোকান, জাহাজ কর্তৃপক্ষ, হকার, ভ্যান চালক, ও পর্যটন ব্যবসার সাথে জড়িত হাজারো মানুষ সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা। যাহাতে দ্বীপে আগত পর্যটকদের সেবা প্রদানে কোন প্রকার কমতি বা ব্যর্থয় না ঘটে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী কাল বুধবার ( ২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে টেকনাফ দমদমিয়া জেটি ঘাট থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ১টি জাহাজ ছেড়ে যাবে আশা করছেন পর্যটক ব্যবসায়ীরা। তবে আজ (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪ টায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে টেকনাফ -সেন্টমার্টিন নৌ রুটে জাহাজ চলাচল সক্রান্ত মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত বলা যাবে সেন্টমার্টিনে জাহাজ যাচ্ছে কি না । গেল মার্চ মাসের ৫ই রজানে টেকনাফ – সেন্টমার্টিন নৌ রুটে পর্যটক বাহি জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়েছিল বলে জানা গেছে। গত মৌসুমে নাব্যতা সংকটের কারণ যথা সময়ে জাহাজ চলাচল শুরু না হলেও চলিত মৌসুমে যথা সময়ে শুরু হওয়ার বিষয়টি দেশের পর্যটন খ্যাতে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পাথেয় বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ দায়িত্বরত চট্টগ্রাম উপ – পরিচাল নয়ন শীল জানান, আমি সংশ্লিষ্ট দের সাথে কথা বলেছি, জাহাজ মালিকেরা আবেদন করেছে। অনুমতি টা আজকের মধ্যে পেয়ে যাবে। আগামী কালকে বার আউলিয়া নামের একটি জাহাজ টেকনাফ – থেকে সেন্টমার্টিনে যাবে।
টেকনাফ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) এরফানুল হক চৌধুরী জানান, জাহাজ টি টেকনাফ- সেন্টমার্টিন নৌ রুটে ট্রায়াল দিচ্ছে। সব ঠিক থাকলে জেলা প্রশাসকের অনুমতি পেলে আগামীকাল দ্বীপে যাবে জাহাজ।
ট্যুয়াকের সিঃ সহ সভাপতি ও জাহাজ টির তত্ত্ববধায়ক হোসাইন ইসমাল বাহাদুর জানান, নৌ পরিবহন অধিদপ্তর ও বিআইডব্লিউটিএ থেকে আমরা অনুমতি পেয়েগেছি। আজ বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষ সকল স্টক হেন্ডারদের নিয়ে একটি মিটিং আছে ওখানে সিদ্ধান্ত হবে। তবে সব কিছু যখন ঠিক আছে মৌসুমের প্রথমে জাহাজ চলাচল কিন্তুু পর্যটন খ্যাত, সেন্টমার্টিন দ্বীপের মানুষের জন্য অথবা পর্যটন ব্যবসায়ীদের জন্য যুগ উপযোগী সিদ্ধান্ত বলে মনে করি।
দ্বীপের স্থানিয় বাসীন্দারা বলছেন, আমাদের সিংহ ভাগ মানুষের ব্যবসায় হয় পর্যটন মৌসুমে। যা থেকে আয় করে সারা বছর আমাদের সংসার চালায়। তাই মৌসুমের শুরুতে যেন সেন্টমার্টিন – টেকনাফ নৌ রুটে জাহাজ চলাচল শুরু হয় সে আশায় করছি।
প্রতিবছর আবহাওয়া ভাল থাকলে সেপ্টেম্বরের শেষে বা অক্টোবরের শুরুতে টেকনাফ – সেন্টমার্টিন নৌ রুটে পর্যটক বাহি জাহাজ চলাচল শুরু হলে দেশ- বিদেশ থেকে হাজার হাজার ভ্রমন পিপাসুরা নীল সাগরের জ্বল রাশি ও মাঝ সাগরে গং চিলের খেলা দেখে আনন্দে পৌঁছেন বঙ্গোপসাগরের বুক চিড়ে জেগে ওঠা সেন্টমার্টিন দ্বীপে। যার বিপরিতে ওই পর্যটন মৌসুমে রাজাস্ব খ্যাতে আয় করেন লক্ষ লক্ষ টাকা। তাই পরিকল্পিত সেন্টমার্টিন গড়ে তুললে ভবিষ্যতে ওই দ্বীপ থেকে পর্যটন খ্যাতে হাজার কোটি টাকা রাজাস্ব আয় হবে বলে ধারনা এলাকা বাসীর।
Leave a Reply