নর্দান গ্রিন অ্যানাকোন্ডা নামে ভয়ংকর এক সাপের সন্ধান পেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা, যার মাথা ছিল মানুষের মতো। আর দেহ মোটা টায়ারের মতো। সাপটিকে এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাপ বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। যদিও সংরক্ষণের জন্য এটিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত আমাজনের বনিতো গ্রামের ফরমোসো নদীতে গত ২৪ মার্চ সাপটির গুলিবিদ্ধ দেহ পাওয়া যায়।
কয়েকমাস আগে একটি চ্যানেলের আসন্ন সিরিজের জন্য কাজ করতে গিয়ে কুইন্স ল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক আমাজনের ইকুয়েডর অংশে এই সাপের সন্ধান পেয়েছিলেন। সাপের এই প্রজাতি আগে নথিভুক্ত ছিল না। ধারণা করা হচ্ছে, এক কোটি বছর আগে অস্তিত্ব থাকা দক্ষিণাঞ্চলীয় সবুজ অ্যানাকোন্ডার সঙ্গে নতুন আবিষ্কৃত এই উত্তরাঞ্চলীয় সবুজ অ্যানাকোন্ডার অনেকটাই মিল।
কুইন্স ল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই বিজ্ঞানীরা বলেন, আমাজন জঙ্গলের ওই অংশে বড় প্রজাতির অ্যানাকোন্ডা আছে খবর পেয়ে তারা সেখানে যান। সেখানকার ওয়াওরানি জনগোষ্ঠীর মানুষেরা তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
কুইন্স ল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানী অধ্যাপক ব্রায়ান ফ্রাই বিজ্ঞানীদের দলটিকে নেতৃত্ব দেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ওই অঞ্চলে চালানো ১০ দিনের অভিযানে শিকারি দলের সঙ্গে ছিলেন বিজ্ঞানীরাও। তারা নদীর অগভীর অংশে কয়েকটি অ্যানাকোন্ডা দেখতে পান, যারা শিকারের খোঁজে সেখানে লুকিয়ে ছিল।
অ্যানাকোন্ডা বিশালাকার সাপ, তবে এরা বিষধর নয়। দক্ষিণ আমেরিকার উষ্ণ অঞ্চলগুলির জলে বা জলের কাছে এদের দেখা মেলে।
অধ্যাপক ব্রায়ান মনে করেন, সাপগুলোর আকার অদ্ভুত। তার দলটি যে সাপের দেখা পেয়েছে, তার মধ্যে একটি স্ত্রী অ্যানাকোন্ডা ৬.৩ মিটার (২০.৭ ফুট) লম্বা। লোকমুখে জানা যায় ওই এলাকায় ৭.৫ মিটার (২৪.৬ ফুট) দীর্ঘ এবং ৫০০ কিলোগ্রাম (১১০০ পাউন্ড) ওজনের অ্যানাকোন্ডা দেখা গেছে।
ব্রিটেনের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের তথ্য বলছে, সবুজ অ্যানাকোন্ডা পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ওজনের সাপ। এগুলো ৮.৪৩ মিটার (২৭.৭ ফুট) পর্যন্ত লম্বা এবং ১.১১ মিটার (৩.৬ ফুট) পর্যন্ত চওড়া হতে পারে।
Leave a Reply