টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি।
সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের হ্নীলায় আত্নস্বীকৃত মা-দ-ক ডিলার স্বশস্ত্র হারুন গং এবং ক্রেতা ইব্রাহীম গংয়ের নাটকীয়তায় জনমনে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, চলতি মাসের গত (৯ জুন) অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হয় টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা দক্ষিণ আলীখালীর রাকিব উল্লাহ ৪০ লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়েছে মর্মে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে স্থানীয় প্রবাসী রশিদ মিয়ার পুত্র এবং ১০২জন আত্নস্বীকৃত ইয়াবা কারবারী সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য ও ইয়াবা ডিলার মোঃ হারুন গং।
পরে হারুন তার স্বশস্ত্র বাহিনী দিয়ে ইব্রাহীমকে অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে যায়। তাকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন ও হুমকি দিয়ে ৪০ হাজার ইয়াবার পাওনা টাকা ৪০ লক্ষ টাকা আদায়ের চেষ্টা চালায়। ইব্রাহীম ও তার স্বজনেরা মাদকের টাকা পরিশোধ করার জন্য ১৭ লক্ষ টাকা মূল্যমানের পৈত্রিক সম্পত্তি রেজিষ্ট্রি নেওয়ার জন্য চাপ দেয়।
এদিকে ইব্রাহীম গংয়ের দাবী গংয়ের দাবী ৪০ হাজার ইয়াবার মধ্যে ৩০ হাজার ইয়াবা মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনাকারী বাহিনীর হাতে জব্দ হয়। অবশিষ্ট ১০ হাজার ইয়াবার মান ভাল না হওয়ায় ৭০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ছিল। প্রভাবশালী হারুনের কাছ থেকে ইয়াবা ক্রেতা ইব্রাহীম একটু গরীব ও অসহায় ছিল। যার কারণে বৈধ মাদকের চালান ও নিরাপত্তার অভাবজনিত কারণে থানায় এবং সংবাদ মাধ্যমে কোন ধরনের অভিযোগ করার সাহস পায়নি।
ইব্রাহীমের বড় বোন রশিদা গত ২৭জুন কিছু টাকা নগদ আর কিছু টাকা বকেয়া রেখে তার অপহৃত ভাই ইব্রাহীমকে উদ্ধার করতে গেলে লেদা ইবনে আব্বাস মাদ্রাসা সংলগ্ন জনৈক জাফরের দোকানের সামনে হতে হারুন গংয়ের সদস্যরা অপহরণ করে নিয়ে পাহাড়ের ভেতরে নিয়ে যায়।
জনৈক সোর্সের মাধ্যমে উপরোক্ত বিষয়ের প্রকৃত ঘটনা অবগত হওয়ার পর বিভিন্ন সংবাদ কর্মীদের পাশাপাশি টেকনাফ টুডে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত হারুন ও তার স্বজনদের সাথে কথা বলে প্রকৃত ঘটনার বিষয়ে জানার জন্য বার বার যোগাযোগ করা হলে মাদকের ডিলার হারুন সন্দেহভাজন সোর্সকে ধরে এনে হুমকি-ধমকি দেওয়ার পর অপহৃত ভাই-বোনকে হাজির করে। ৪০হাজার ইয়াবার বকেয়া আদায় বাবদ মোটাংকের টাকা আদায় করে লিখিত ডকুমেন্ট পত্র নেয়। এরপর ভিকটিম ইব্রাহীমকে অবৈধ অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহৃত হয়নি এবং পাওনা টাকা মাদকের নয় বলে অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর এই ঘটনা সম্পর্কে অবহিত স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে।
আত্নস্বীকৃত এই মাদক কারবারী হারুন মাদক চোরাচালানের রামরাজত্ব কায়েমের ফলে সৃষ্ট স্বশস্ত্র গ্রুপ ও পারিবারিক পেশীশক্তির কারণে বিভিন্ন স্তরের মানুষের সাথে আতাঁত করে পুরো এলাকায় অঘোষিত রাজত্ব চালাচ্ছে।
এই ঘটনাটি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে মাদক কান্ডে জড়িত ইয়াবা ডিলার হারুন ও ক্রেতা ইব্রাহীমসহ তাদের সহযোগীদের আইনের আওতায় শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষের বসবাস উপযোগী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সর্বস্তরের আইন-শৃংখলা বাহিনীর কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।###
Leave a Reply