নিজস্ব সংবাদ দাতা
টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের দায়িত্ব প্রাপ্ত মূল কাজী মোঃ আখতার কামাল নুরীর নতুন সহযোগী হিসেবে মুফিজুর রহমান কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানাগেছে। এখন থেকে হ্নীলা এলাকার সমস্ত মুসলিম নিকাহ ও তালাক রেজিস্ট্রার লিখার কাজ পরিচালনা করবেন মুফিজুর রহমান। তাকে সহযোগিতা করার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানান মোঃ আখতার কামাল নুরী।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুরে হোয়াইক্যং এলাকার তার নিজ বাসভবনে গণমাধ্যম কর্মীদের এ সব তথ্য জানান।
নূরী জানান, হঠাৎ নুরুল হক নামের একটি ফেইসবুক আইডি থেকে মুসলিম নিকাহ ও তালাক রেজিস্ট্রার থেকে সম্প্রতি ০২/০৬/২০২৪ ইংরেজি আইন মন্ত্রণালয় ১নং হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার আক্তার কামাল নূরী সাহেবের লাইসেন্স বাতিল করায় জেলা রেজিস্ট্রার কক্সবাজার কর্তৃক ০৬/০৬/২০২৪ আমাকে ( নুরুল হক) কে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রারের অতিরিক্ত দায়িত্ব অর্পন করে মর্মে অপ প্রচার করেন। যা আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। পরে ওই প্রচারিত পত্রটি সংগ্রহ করে মহামান্য হাইকোর্ট বরাবরে আবেদন বা মামলা (৩০/৬/২৪ সালে) করিলে আদালত তা গ্রহন করে ৬ মাসের জন্য স্থগিত আদেশ প্রদান করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সিনিয়র সহকারী সচিব কে নুরুল হকের আবেদন কে আদালতে অবহিত করতে ০১/০৭/২৪ ইং নির্দেশ দেন। যার মামলা নং ৪২৪৪/২০২৪ সাল। যার কারণে ওই আদেশের শুনানি না হওয়া পর্যন্ত আমার কার্যক্রম চালিয়ে যেতে কোন বাঁধা নেই। তবে আমাকে বাদ দিয়েছে মর্মে যে অপপ্রচার চালাচ্ছে তার কোন একটি চিঠি অদ্য বদি পর্যন্ত জেলা অফিসের পক্ষ থেকে আমার বরাবরে পৌছায়নি। যা তাহার মন গড়া বলে মনে হচ্ছে।
আখতার কামাল নুরী আরো জানান, যেখানে বিগত ২৯/০১/১৯৮৬ সালে টেকনাফ উপজেলার ১ও ২নং ইউনিয়নের মুসলিম নিকাহ ও তালাক রেজিস্ট্রারের ( ১৯ বি ০৭/২/এন-১০৩/৭৮) স্বারক নং মূলে স্থায়ীভাবে নিয়োগ হয়ে অদ্য বদী পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছি । এমন সময় হঠাৎ নুরুল হক নামের একটি ফেইসবুক আইডি থেকে নিকাহ ও তালাক রেজিস্ট্রার থেকে আমাকে বাদ দিয়ে তাহাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে সম্পূর্ণ অপ প্রচার করেন।
হ্নীলা তে আমার সহযোগী হিসেবে নুরুল হক নামের যে ব্যক্তি কাজ করতেন, তাকে অব্যাহতি দিয়ে হ্নীলার মফিজুর রহমানকে উক্ত কার্য্য পরিচালনার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে । কিন্তুু সেখানে যদি মুফিজুর রহমান কে কেউ নিকাহ ও তালাক রেজিস্ট্রার কার্যক্রমে বাধাগ্রস্ত করেন। তাদের বিরুদ্ধে আমি আইনগত ব্যবস্থা নিতে সকল সহযোগিতা প্রদান করব।
এ বিষয়ে নুরুল হকের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে হ্নীলা ইউনিয়নে মুসলিম নিকাহ ও তালাক রেজিস্ট্রারের দায়িত্বে আছি। পাশাপাশি আমাকে অস্থায়ীভাবে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের অতিরিক্ত কাজের দায়িত্ব দিয়েছেন জেলা রেজিস্ট্রার। যদি আখতারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই বিষয় টি মহামান্য আদালতে স্থগিত করতো, তাহলে অবশ্যই আমাকে জেলা রেজিস্ট্রারের অফিস পক্ষ থেকে অব্যাহতিমূলক চিঠিপত্র ইস্যু করত, অথচ এরকম কোন পত্র বা চিঠি আমি পায়নি । সুতেরাং আমি আমার দায়িত্বে বৈধ আছি। তিনি আরো জানান, নিকাহ রেজিস্ট্রারে একটি বাল্যবিবাহের প্রমাণ পাওয়ায় তাহার সদন বাতিল হয়েছে। অথচ আখতার কামাল সাহেব আমি তাহার রেজিস্ট্রার বাতিল করেছি বলে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে।
Leave a Reply