নিজস্ব সংবাদ দাতা টেকনাফ
টেকনাফের হ্নীলা ১নং ওয়ার্ডের আলী আকবর পাড়ার মৃত সৈয়দুর রহমানের ছেলে কালা মিয়া (৮০) প্রবীণ বিএনপি নেতা কে মারধর করে নিজ বসত ভিটা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় নাগু মিয়ার ছেলে ও টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল মোস্তফার ভাই নাসির উদ্দীন গং এর বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানায় ভুক্তভোগী বাদি হয়ে নাগু মিয়ার ছেলে নাসির উদ্দীন (৪৫),নুরুল মোস্তফা (৩৫)সহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪/৫ জন কে বিবাদী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভাই ছাত্রলীগ নেতার প্রভাব দেখিয়ে ৮০উর্ধ্বে বৃদ্ধে বিএনপি নেতাকে মারধর ও দির্ঘ দিনের বসত ভিটা কেড়ে নেওয়ার কারণে ক্ষোভে ফেঁসে উঠেছেন স্থানীয় নেতা কর্মীরা। এ বিষয়ে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।
সোমবার (২১ অক্টোবর) টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, ঘটনার বিষয়ে প্রয়োজনিয় তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযোগ ও বাদির কথা সূত্রে জানা যায়, প্রবীণ এ বিএনপি নেতা দীর্ঘ দিন ধরে নিজ স্বত্ব জমিটিতে তাহার বসত ভিটা ভোগ করে আসছিলেন। হঠাৎ বিবাদীরা দলবল নিয়ে তাহার বসত ভিটা দখলে নিতে সশস্ত্র ভাবে আক্রমন করেন । যাহাতে তিনি বৃদ্ধা বয়সে মারধর সহ নির্যাতনের শিকারে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং বর্তমানে চিকিৎসা ধীন রয়েছেন।
বিবাদীদের একজন টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও অপরজন তাহার বড় ভাই হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে অনেকেই ভয় পাই । এলাকা বাসী জানিয়েছেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও এলাকায় তাদের দোষরেরা এখনো অবস্থান করে
সেই পুরোনো চরিত্রে কাজ করছেন। যা দেখে জনমনে ভীতি সঞ্চার হচ্ছে। তাই তদন্ত করে আইনের আওতায় আনা না হলে ভবিষ্যতে খুন ও হত্যা কান্ডের মত জঘন্য বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে বলে স্থানীয়দের অভিম।
তিনি আরো জানান, বিবাদীরা আমার স্বত্ব দখলীয় বসত ভিটা হতে বেদখল করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে হুমকি ধামকি দিয়ে ছিল। আমাদের বসত ভিটাতে অবৈধ ভাবে প্রবেশ করে ঘেড়া – বেড়া দেওয়া কালে বিবাদীদের বাধা দিলে মারধর করে প্রাণ নাশের হুমকি দে। তাই গত শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) আমি এবং আমার ছেলে বশির আহমেদ ভিটায় না থাকা অবস্থায় উল্লেখিত বিবাদীরা সুযোগ বুঝে দা কিরিচ, লাঠি, লোহার রড এবং চ্যাংড়া ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে পরস্পর বেআইনি জনতা গঠন করে আমার বসত ভিটা জবর দখল করার জন্য টেংরা দিয়ে ঘেড়া- বেড়া দিচ্ছিল। এমন খবর পেয়ে আমি এবং আমার ছেলে বশির আহমদ বসত ভিটায় যাওয়ার চেষ্টা করিলে, তারা হত্যার উদ্দেশ্যে তিন নম্বর বিবাদী আবু বক্কর ছিদ্দিকের ছেলে জালাল উদ্দিনের (৪০) হাতে থাকা দা নিয়ে বশির আহমেদের মাথায় সজোরে কোপ দিলে ডান হাত দিয়া প্রতিহত করার সময় উক্ত কোপ ডান হাতে কনিষ্ট আঙ্গুলে পড়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। পরবর্তীতে টেকনাফ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষ করেন আহত বশির। শুধু তা নয় ছেলে বশিরের হাতে থাকা ২ লাখ টাকা ও ২৫ হাজার টাকা মূল্যের ১ টি মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে মাঠিতে ফেলে ভংচুর করেন।
স্থানীয়রা জানান, কালা মিয়া হ্নীলা আলী আকবর পাড়ার ওয়ার্ড বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা। যার জীবন – যৌবনে বিএনপি বলে বলে চলেছে বৃদ্ধা বয়সে এসে আওয়ামীর নেতা কর্মীদের হাতে নির্যাতন হতে হবে তা অযুক্তিক। উক্ত ঘটনায় দোষীদের তদন্ত সাপেক্ষে আইনের আওতায় আনার দাবি করছেন।
ঘটনার বিষয়ে বিবাদী নাসির উদ্দীনের কাছে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার রেজিস্ট্রার কৃত নামজারি জায়গায় নিয়ে তাদের সাথে সীমানা বিরোধ হয়। আমি কালা মিয়াকে মারিনি বরং কালামিয়া এসে আমাকে মেরেছে।
Leave a Reply