সংবাদ দাতা
টেকনাফের হোয়াইক্যং নয়াবাজার এলাকায় গত ১৮ নভেম্বর একটি হত্যা কান্ডকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট ঘর পোড়া ও লুটপাট মামলায় হ্নীলা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের জাদিমুড়া এলাকার বাসীন্দা বিশিষ্ট সমাজ সেবক আব্দুল মুনাফা কোম্পানির ৩য় ছেলে আমির হামজাকে মিথ্যা ভাবে আসামি করায় তীব্র নিন্দ ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন ভুক্তভোগী হামজা।
তিনি বলেন, আমি আমির হামজাকে যে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে তা সম্পুর্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও সাজানো এবং পরিকল্পিত বলে বনে করি। তা না হলে কেন আমাকে নিজ ইউনিয়নের বাইরে গিয়ে আসামি করা হল। আমার জাদিমুড়া এলাকায় যেখানে হাজার হাজার মানুষের বসবাস সেখানে শুরু মাত্র আমি কেন আসামি? ঘটনাটি তদন্ত করে আমাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য সরকারে কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। প্রতিবাদের ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, গত কয়েক সপ্তাহ আগে জাদিমুড়া বাজারে আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তির উপরে গড়ে উঠা বাজারে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ইজারার নাম দিয়ে টাকা তুলছিল হ্নীলা পানখালী এলাকার আব্দুল কাদেরের ছেলে আব্দুল্লাহ বিন কাদের। যার কারণে স্থানীয় গরিব কিছু লোক আমাদের কে অভিযোগ করেন হাসিলের নাম দিয়ে টাকা তুলছেন আব্দুল্লাহর নিয়োগ করা লোক জন । পরে দেখি বিষয়টি টি সত্য। হাসিল উত্তোলন কারি কে কেন আমার পৈত্রিক জমির বাজার থেকে হাছিল উত্তোলন করছেন এমন প্রশ্নে সে উত্তরে বলে বাজার আমরা সরকারের থেকে ইজারা নিয়েছি তাই হাসিল উত্তোলন করছি বলে আমাদের জবাব দেন। আমাদের পৈত্রিক জমিতে গড়ে উঠা বাজার থেকে কি ভাবে হাসিল নিবেন বা সরকার কি ভাবে তা লিজ দিতে পারে । এমন বিষয়ে আমার মেঝ ভাইয় ওসমানের সাথে কাটাকাটির জের ধরে আব্দুল্লাহ গংরা ঘটনার পর থেকে আমাদের বাজারের হাসিল দখলে নেওয়ার জন্য আব্দুল্লাহর ইন্দনে আমাদের কে বিভিন্ন কৌশলে মামলায় আসামি করা হচ্ছে। ওই ঘর পোড়া মামলায় আমাকে আসামি করা সে টাও আব্দুল্লাহর ইন্দন বলে আমাদের তদন্তে প্রমান পেয়েছি করছি। অথচ আমার সাথে বাদি কোন সমস্যা নেই বা বাদি আমাদের চিনেওনা। আমার বাড়ি আর বাদির বাড়ি অন্তত ২০ কিলোমিটার দুরে। প্রশ্ন হল আমি কি ভাবে জাদিমুড়া থেকে গিয়ে ২০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে এমন ন্যাক্কারজনক কাজ অংশ নিয়েছি? উল্লেখ্য, গত ১৮ নভেম্বর হোয়াইক্যং নয়াবাজার সাতঘটিয়া পাড়া দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিতে এক যুবক নিহত হয়। পরবর্তীতে সে ঘটনায় মোহাম্মদ হোছনের মেয়ে ও সাদ্দাম হোসেন শাহীনের স্ত্রী রোকসানা বেগম (২৬) বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। সেখানে আমাকে ৩৮ নং আসামি করা হয়। যা অতীব দুঃখজনক মর্মাহত।
প্রতিবাদ কারি
নাম – আমির হামজা
পিতা- আব্দুল মুনাফ কোম্পানি
সাং – জাদিমুড়া, ইউনিয়ন -হ্নীলা,
থানা – টেকনাফ, জেলা- কক্সবাজার।
Leave a Reply