মোঃ শেখ রাসেল, টেকনাফ
সোমবার সকাল ৬ টা দিকে টেকনাফ উপজেলার আওতাধীন শাহ পরীর দ্বীপ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ
৮নং ওয়ার্ড হতদরিদ্র কৃষক উত্তর পাড়ার শামসুল আলম ৬০ শত জমির পাকা ধান কেটে দিয়ে নিজেরা বহন করে বাড়িতে পৌঁছে দেন।
কৃষক শামসুল আলম বলেন,করোনার মহামারিতে শ্রমিক সংকটের কারণে ক্ষেতের পাকা ধান ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম।
জুমার নামাজ পড়ে বাড়ির যাওয়ার পদে বলতেছিলাম কি দুরর্দশা, আমি কোনো শ্রমিক পাছিনা যে কোনো মুহূর্তে বৃষ্টি আসতে পারে এই রকম বলে বাড়িতে চলে আছি, সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি ১০ থেকে ১৬ জন্য ছেলে আমার বাড়িতে বলাম বাবা কিসের জন্য আসছেন আপনারা, তখন বলেন আমরা আপনার ধান কেটতে আছি টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগ আমাদের কে পাঠিয়েছে আমার শাহ পরীর দ্বীপ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আপনার ছেলেরা,তখন শামসুল আলম খুশি হয়ে বলেন বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের ছেলেরা আমাদেরকে কোনো সমস্যা হলে, আমরা তাদের কে পাশে পাই, আমি ধন্যবাদ জানাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কে এই দুরর্দশা মুহূর্তে টেকনাফ উপজেলা আওতাধীন শাহ পরীর দ্বীপ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ কে কাছে পেয়েছি, দুশ্চিন্তা ও সংকটের মাঝে সকাল ৬ টায় ছাত্রলীগের ১৬ নেতাকর্মী ক্ষেতে এসে ধান কেটে দিয়ে আমার বাড়িতে পৌঁছে দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাসেদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক সাদেকুল আমিন,শাহ পরীর দ্বীপ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি হাফিজ উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শরীফ, সাবেক ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতা সাইফুল্লাহ সহ শাহ পরীর দ্বীপ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ১৬ জন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এরকম মানবিক উদ্যোগ দেখে স্থানীয় লোকজন ছাত্রলীগের ব্যতিক্রমী এমন কাজে প্রশংসা করেন।
টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সোলতান মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মুন্না জানান, এবার ফলন ভালো হয়েছে কিন্তু করোনা মহামারিতে শ্রমিক সংকটের কারণে দরিদ্র কৃষকরা পাকা ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছেন না। বিষয়টি অনুধাবন করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ছাত্রলীগ কৃষকের ধানকাটা কার্যক্রম শুরু করে। যেকোনো মানবিক সঙ্কটে সাধারণ মানুষের পাশে থাকে ছাত্রলীগ। এই দুঃসময়ে প্রত্যেকের উচিত কৃষকদের পাশে দাঁড়ানো। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সম্পাদক বলেন ধানকাটা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।##
Leave a Reply