টেকনাফের কিছু কিছু জায়গার মানুষ নেটওয়ার্ক ভুগান্তিতে আছে দীর্ঘ এক বছর। এমনে ও রোহিঙ্গা বসতি এলাকায় বসবাস, সেখানে আবার নেটওয়ার্ক ভুগান্তিতে খুবই কষ্ঠে যাচ্ছে দিন। দেশের এমন দূর্যোগ কালে খবরা খবর আদান প্রদান করতে খুবই সমস্যায় আছে স্থানীয় জনগণ।
করোনা ভাইরাস যেমন হুমকি, তার চেয়ে বড় হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসি বাহিনীর কাছে স্থানীয় জনগণ। প্রতিদিন কাওকে না কাউকে হুমকি দিয়ে চলছে তারাঁ।সেই বিপদের সময় নেটওয়ার্ক বিহীন থাকা খুবই মুশকিল হয়ে পড়ছে, স্থানীয় জনগণদের। যদি কোন সময় আক্রমণ করে বসে সন্ত্রাসী বাহিনীরা,তখন তো আর সে আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে পুলিশ প্রশাসন কে খবর দেওয়ার সুযোগ পর্যন্ত নেই।মাঝ রাতে কেউ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে,গাড়ি বা কোন স্বাস্থ্য কর্মীকে খবর দেওয়ার মতো সেই সুযোগ প্রযন্ত নেই আমাদের। এমন দূর্যোগময় পরিস্থিতিতে দেশের খবরা খবর জানতে তো একটু নেটওয়ার্ক প্রয়োজন,কিন্তু সেই সুযোগ নেই আমাদের। টানা দুই মাস লক ডাউনে কাটছে আমাদের, সেখানে একটু আপনজনদের খবরা খবর নিতে পারি না, কষ্ঠে যাচ্ছে নেটওয়ার্ক বিহীন লক ডাউনে থাকা।
করোনা ভাইরাস এর কারণে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ছাত্র ছাত্রীরা অনেক কিছু থেকে বন্ঞ্চিত।অনলাইনের মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার ক্লাস চালু রয়েছে,কিন্তু আমাদের নেটওয়ার্ক বিহীন জায়গার ছাত্র ছাত্রীরা সেই সেবা থেকে বন্ঞ্চিত। পারছে না কোন অনলাইন ক্লাস করতে, পারছে না স্কুলে যেথে। এমন ভুগান্তিতে আছে টেকনাফ উপজেলার মানুষ, হয়তো কিছু জায়গায় নেটওয়ার্ক ব্যাবস্থা আছে, কিন্তু প্রায় সংখ্যক জায়গায় একদম ও নেই। দেশের এমন পরিস্থিতিতে কি একটু নেটওয়ার্ক সমস্যার সমাধান করা যায় না। যাদের জন্য আজ নেটওয়ার্ক বন্ধ তারা তো আর নেটওয়ার্ক বিহীন নেই,সেই মেহমানগণ তো বিভিন্ন কৌশলে wifi বা তাদের দেশের MPT সিম ব্যাবহার করে নেটওয়ার্ক সেবা পাচ্ছে।কিন্তু বন্ঞ্চিত স্থানীয় জনগণ। স্থানীয়দের দাবী নেটওয়ার্ক সেবা থেকে আমরা কেন বন্ঞ্চিত হলাম, আমাদের আগের মতো নেটওয়ার্ক সেবা পাওয়ার সুযোগ দিন।উচ্চ মহলের কর্মকর্তাদের প্রতি বিশেষ অনুরুধ,নেটওয়ার্ক সেবা আগের মতো করে আমাদের কে সেই সেবা পাওয়ার সুযোগ করে দিন।
না হয় বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে স্থানীয় জনগণ,যেহেতু ঝুকিপূর্ণ রোহিঙ্গা বসতি এলাকা।
অনুরুধ ক্রমে,
টেকনাফ উপজেলার নেটওয়ার্ক বিহীন এলাকার স্থানীয় জনগোষ্ঠির পক্ষে,
রেজাউল করিম রেজা, নয়াপাড়া, হ্নীলা টেকনাফ কক্সবাজার।
Leave a Reply