1. akfilmmultimedia@gmail.com : admin2020 :
  2. teknafchannel71@gmail.com : teknaf7120 :
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নাফ নদী দিয়ে ফের বাংলাদেশে পা’লি’য়ে এলো মিয়ানমার বিজিপির ৪০ সদস্য অবশেষে জামিনে মুক্ত মাওলানা মামুনুল হক টেকনাফে আওয়ামী লীগ নেতা সহ ৩ কৃষক অপহরণ ৮ ঘন্টা পর উদ্ধার সীমান্তে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে মঈন উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজ – সচিব কামরুল হাসান(এনডিসি) দেশের পথে এমভি আবদুল্লাহ, বাড়ি ফেরার উচ্ছ্বাস নাবিকদের ৩ দিনের রিমান্ডে মিল্টন সমাদ্দার কক্সবাজারের উখিয়া নাফনদী ১০ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে । টেকনাফ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সরোয়ার আলম মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন  বিজিবি’র অভিযানে বিদেশি মদ উদ্ধার বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে ছাত্রলীগ নেতাকে নির্যাতন-মারধার

পেকুয়ায় জমি জবরদখলের পর, হয়রানি করার অভিযোগ

  • আপডেট সময় : সোমবার, ১৫ জুন, ২০২০
  • ৫০৫ বার পড়া হয়েছে

পেকুয়া প্রতিনিধি

কক্সবাজারের পেকুয়ায় উজানটিয়ায় ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি বদি আলম গংদের ক্রয়কৃত জমি জবর দখলে রাখার পর মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি স্থানীয় ইউপি কার্যালয় থেকে দেয়া রায় ও আদালতের আদেশও অমান্য করে চলছেন জমি জবর দখলকারীরা।

উজানটিয়া ইউপির নতুনঘোনা পেকুয়ার চর এলাকার মৃত মুহাম্মদ হোছনের স্ত্রী ফরিজা বেগমের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন মৃত শফিকুর রহমানের ছেলে নেছার উদ্দিন, বদিউল আলম ও বাদশা মাঝি।তারা সবাই আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান, বদি আলম উজানটিয়া ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি, নেছার উদ্দীন মগনামা ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি,তারেক উজানটিয়া ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক, আবদু সালাম এই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা, হাসান একই ৫নং ওয়ার্ড শ্রমিকলীগের সভাপতি, বইশশ্যা আওয়ামীলীগের সদস্য।

তারা বলেন, ফরিজা বেগম দলিলমূলে ২০শতক জমি পাওনাদার। কিন্তু তিনি অবৈধভাবে দলিল নেন ২৮শতক, পরিমাপে জমিও রয়েছে ২০শতক। এরই মাঝে তার স্বামী জীবিত থাকা অবস্থায় ১৯৯৫ সালে সাইক্লোন সেল্টারের নামে ২০শতক জমি দান করে দেন। দলিল যেহেতু ২৮শতকের সেহেতু তারা আর জমি পাওয়া থাকে ৮শতক মাত্র। অথচ বসতবাড়িসহ তারা জমি জবর দখল করে রেখেছে ৫৪শতক। এবিষয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করলে রায়-ডিগ্রি তাদের পক্ষে যায়। এরপরও ওই জমি ফরিজা বেগম দখল না ছাড়লে স্থানীয় ইউপি কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেখানে তারা কোন ধরণের কাগজপত্র দেখাতে পারে নি। তার রায়ও বদি আলম গংয়ের পক্ষে যায়। থানায় এনিয়ে বৈঠক হয়। বৈঠক পরবর্তি পরিমাপ করা হয়। পরিমাপের সময় কাগজপত্র বিশ্লেষণ করলে ফরিজা বেগমের কোন ধরণের জমি নাই তা প্রমাণিত হয়।

বদি আলম বলেন, আমরা দলিলমূলে জমি ক্রয় করে ভোগদখল করে আসছি। এই জমি থেকে বেশ কিছু জমি ফরিজা বেগম জবর দখল করে নেয়। গত শুক্রবার তারা আবারো সংঘবদ্ধ হয়ে দুই হাত জমি জবর দখল করে নেয়। এর প্রতিবাদ করায় তারা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করার জন্য মিথ্যা অজুহাত দিচ্ছেন। স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি বিনীত অনুরোধ ঘটনাটি সঠিকভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হউক।

স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহাজামাল বলেন, জমি জবর দখল করার অভিযোগ দেন ফরিজা বেগম। শুক্রবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষকে নিভৃত করে স্থানীয়ভাবে বৈঠক করে সমাধা করার কথা বলি। এক্ষেত্রে নেছার গং বৈঠকে বসতে রাজি থাকলেও ফরিজা বেগম বৈঠকে হাজির হয় নাই। এর আগেও স্থানীয় ইউপি কার্যালয়ের বৈঠকে ফরিজা বেগম কোন ধরণের কাগজপত্র দেখাতে পারে নাই।

এই বিষয়ে উজানটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, আমার কাছে তাদের একটা শালিস ছিল, যারা কাজ প্রত্রে সহি তাদের পক্ষে রায় দিয়েছি। কাগজের বাহিরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। খতিয়ান মতে ফরিজা বেগমের দখলিয় জমির মধ্যে ৮শতক জমি পাবে। বাকী জমি বদি আলম গংয়ের। ফরিজা বেগম আবারও অতিরিক্ত সাইট ভরাট করতে গেলে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ লাগে। এটা সংঘর্ষ সমাধানের পথ নয়, আমি আশা করব তারা যেন আলোচনা মধ্যেমে তাদের সমস্যা সামধান করে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর