মোঃ আশেক উল্লাহ ফারুকী, টেকনাফ থেকে
টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইক্যং, হ্নীলা ও সাবরাং নাফনদীর উপকূলীয় এলাকার প্রায় স্লুসগেইট অকেজো এবং স্থানীয় প্রভাবশালীরা লবণ ও চিংড়ী উৎপাদনের স্বার্থে স্লুসগেইট গুলো নিয়ন্ত্রনে রাখায় এ ৩ ইউনিয়নের বর্ষা ও পাহাড়ী ঢলের পানি চলাচলে বাধাগ্রস্থ হয়ে নিম্মাঞ্চ বর্ষা মওসূমে জলাবদ্ধতা এবং নাফনদীর প্রতিরক্ষাবাদ ভাংগন দেখা দেয়। এসব স্লুসগেইটের মালিক কক্সবাজর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। স্বাধীনতা ৪৮বছর অতিক্রান্ত হলেও নাফনদীর উপকূলীয় এলাকার প্রতিরক্ষাবাধ ও স্লুসগেইটের টেকসই উন্নয়নের ছোয়া লাগেনী। যার কারণে উপকূলীয় এলাকার বসবাসকারী মানুষের জান মালের নিরাপত্তা ক্ষতিসাধন সহ ওরা চরম ঝুঁকিতে বসবাস করে আসছে।
চিংড়ী চাষ এবং লবণ চাষের নামে বিস্তীর্ন নাফনদীর উপকূলীয় এলাকার বাহিরে ও ভিতরে হাজার হাজার সরকারী খাস জায়গা ভিত্তহীন পরিবারের নামে বন্দোবস্তী দিয়ে প্রভাবশালীরা দখল করে আছে। সী সাইড়ে উপকূলীয় বেড়ীবাধ রক্ষা এবং সৌন্দর্য্য বর্ধনের জন্য সবুজ কেউড়া বাগান চিংড়ী ও লবন চাষের নামে উজাড় হয়ে যায়। ফলে নাফনদীর উপকূলী রক্ষাকারী বেড়ীবাধ ভংগন দেখা দেয়। প্রতিবছর ভংগন রোধে সরকার অর্থ বরাদ্দ দিলেও সুষ্ঠ পরিকল্পনার অভাবে বেড়ীবাধ উন্নয়নে স্থায়ী কোন সমাধান হয়নি। বিশেষ করে সাবরাং ও শাহপরীরদ্বীপ উপকূলীয় এলাকার প্রতিরক্ষা বেড়ীবাধ এবং স্লুসগেইটের অবস্থা অতি ঝুঁকিপূর্ণ। এ জনপদ প্রতি বছর বর্ষা মওসূমে নিম্মাঞ্চল এলাকা এবং শাহপরীরদ্বীপের একমাত্র যোগাযোগ সড়কটি পানিতে ডুবে থাকে। ওদের দুঃখ দুর্দশা কেই এগিয়ে আসছেনা। এমন অভিযোগ শাহপরীরদ্বীপ বাসীর। নাম প্রকাশ না করার শার্তে সাবারং ইউনিয়নের কয়েকজন প্রভাবশালী চিংড়ী ও লবণ চাষের নামে ব্যক্তির স্বার্থে নাফনদীর উপকূলীয় এলাকার বেড়ীবাধ স্লুসগেইট বন্ধ রেখে জন স্বার্থ বিরোধী কাজে জড়িত থাকায় নিম্মাঞ্চলে এলাকা বর্ষা মওসূমে জলাবদ্দতা দেখা দেয়। অপরদিকে টেকনাফ সদর ও সাবরাং নাফনদীর উপকূলীয় এলাকার কয়েকটি স্লুসগেইট দীর্ঘদিন যাবৎ অকেজো থাকায় নাফনদীর জোয়ারের পানি অবাধে প্রবেশ করে এবং উপকূলীয় এলাকার বসবাসকারীরা জলাবদ্ধতা এবং প্লাবনের শিকার হয়।
এছাড়া ভাংগন বেড়ীবাধ সংস্কার না থাকায় বিস্তীর্ন উপকূলীয় সীমান্ত এলাকা চোরাচালন রোধে সীমান্ত রক্ষীসহ আইন শৃংখলা বাহিনীর চোরাচালান দস্যুতা এবং রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বিরুধী অভিযানে পরিচালনায় বিঘœ ঘটে বলে সংশ্লিষ্ঠরা জানায়। এ প্রসংগে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) প্রকৌশলীর উপ সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের সাথে মুটোফোনে জানতে চাইলে, বেড়ীবাধের উন্নয়ন চলমান আছে এবং কিছু স্লুসগেইট অকেজো থাকলেও ব্যবহার যোগ্য।
Leave a Reply