নাছির উদ্দীন রাজ / মোঃ শেখ রাসেল,টেকনাফ
টেকনাফ উপজেলার ৫নং বাহার ছড়া ইউনিয়নের ৪৯ বছরের ঐতিহ্যবাহী ফুটবল খেলার মাঠ বিভিন্ন এনজিও কর্তৃক রোহিঙ্গাদের সেবা দেয়ার নামে প্রায় ০৩বছর যাবত দখল করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। ছাত্র ও এলাকার ছেলে দের মাদক, মানব পাচার ও অসামাজিক কার্যকলাপ থেকে দুরে রাখে সংস্কৃতিমনা হিসেবে গড়ে তুলতে অবরুদ্ধ খেলার মাঠটি পুনরুদ্ধারের দাবিতে বাহার ছড়ার সাধারণ জনগণ, জন প্রতিনিধি ও টেকনাফ উপজেলা বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মানববন্ধন ও পথসভার আয়োজন করেছে। ১০ অক্টোবর বিকাল ৩ ঘটিকার সময় শামলাপুর বাহারছড়া স্টেশনে ইউনিয়নে উওর শাখা ছাত্রদলে সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোহেল রানার সঞ্চালনায় বাহারছড়া ইউনিয়নের ক্রীড়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলমের সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা আজিজ উদ্দীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, টেকনাফ উপজেলা ক্রীড়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াস মিন্টু, বাহারছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল্লাহ, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও আগামীর সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আমজাদ হোসেন খোকন সিকদার , সাবেক মেম্বার হোছন আহাম্মদ , সাবেক মেম্বার আবদুল হক, ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার আজিজুল ইসলাম, ১নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার মোঃ ইউনুছ,
সাবেক বাহারছড়া ইউনিয়ন উওর শাখা যুবদলের সভাপতি মোঃ ইলিয়াস,টেকনাফ উপজেলা ক্রীড়া পরিষদের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ জামাল ছাদেক, টেকনাফ উপজেলা ক্রীড়া পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আফসার মাহমুদ ,২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলিগের সভাপতি আমির মোহাম্মদ শাহজাহান, জয়নাল আবেদীন জয় সদস্য সচিব বাহারছড়া ইউনিয়ন উত্তর শাখা যুবদল, জসিম উদ্দীন সহ ক্রীড়াবিদ ছাত্র ও সর্বস্তরের জনসাধারণ।
বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেছেন, ৪৯ বছরের ঐতিহ্যবাহী ফুটবল খেলার মাঠ ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা আসার পর থেকে মানবতা দেখিয়ে ছিলাম সরকারের সহযোগিতায়। কিন্তুু আমাদের জানামতে আর রোহিঙ্গাদের ত্রান সামগ্রী বিতরণ করতে মাঠের তেমন প্রয়োজন নেই। তাই আমরা আমাদের ইউনিয়নের ছোট ছাত্র /ছেলে বেলেদের এক মাত্র খেলার সম্বল টি ফিরে পেতে চাই। যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন খোকন শিকদার বলেন, আমরা ছোটকাল থেকে এই মাঠে খেলে ছিলাম। আজ রোহিঙ্গা আসার কারণে তিন বছর আমাদের ভাইয়েরা এই মাঠে খেলতে পাছেনা,মানবতার সার্থে রোহিঙ্গাদের এই খেলার মাঠে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য বস্ত্র বিতরণ করে আসছিল আমরা কিছু বলি নাই।এখন ওই মাঠে কোন ধরনের কাজকর্ম হচ্ছে না যার ফলে আমরা এই মাঠ কে আবার ফিরে পেতে চাই। যদি স্থানীয় খেলোয়াড় খেলাধুলার দিকে এগিয়ে আসে না পারে তখন খেলোয়াড় ও ছাত্ররা মাদকের দিকে ধাবিত হতে পরে । তাই আমরা সবাই ঐক্য বদ্ধ হয়ে মাদককে ভুলে গিয়ে ক্রীড়াকে এগিয়ে আনতে হলে মাঠের প্রয়োজন আছে।তাই খেলার মাঠের বিষয়ে অবহিত করতে
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আবেদনের পাশাপাশি বিভিন্ন এনজিও সেক্টরে আমরা দরখাস্ত পাঠিয়েছিলাম। তা কোন ধরনের উদ্যোগ নেইনি তাহারা। আমরা বাহারছড়া ইউনিয়ন বাসী আগামী ১৫ দিনের মধ্যে যদি আমাদের খেলার মাঠ আমাদের কে ফিরিয়ে না দেয়, তা হলে দুর্বার আন্দোলনের ডাক দিব।
Leave a Reply