প্রেস বিজ্ঞপ্তি
কক্সবাজারের আদালতে এক এনজিও নারী কর্মীর বিরুদ্ধে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি’র পক্ষে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে চাঞ্চল্যকর মানহানি মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালত আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে মামলার আরজিতে উল্লিখিত সাক্ষীদের জবানবন্দি নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে নির্দেশ দিয়েছেন।
বিজিবি’র পক্ষে মামলার বাদী হয়েছেন টেকনাফ বিজিবি-২ ব্যাটালিয়ানের দমদমিয়া তল্লাশি ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত জেসিও নায়েব সুবেদার মোহাম্মদ আলী মোল্লা। অপরদিকে মামলাটিতে বিজিবি’র বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ এনে আসামি করা হয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা-এনজিও ব্লষ্টের নারী কর্মী ফারজানা আকতারের (২৮) বিরুদ্ধে।
বাদী মামলার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, বিজিবি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশমাতৃকার স্বাধীনতার জন্য লড়াই করে বিজয় ছিনিয়ে আনা একটি বাহিনী। এমন একটি বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে ওই এনজিও নারী কর্মী অহেতুক উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে গণধর্ষণের মতো মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়েছেন। যাতে করে বিজিবি’র মতো একটি বাহিনীর ভাবমূর্তিকে মারাত্মকভাবে আঘাত হেনেছে। এজন্যই বিজিবি আইনি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে।
মামলার বাদীর নিয়োজিত আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাজ্জাদুল করিম ও অ্যাডভোকেট জিয়া উদ্দিন আহমদ জানান, আসামি ফারজানা আকতার কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নে এনজিওটির কর্মী হিসাবে কর্মরত। তিনি অন্যান্য দিনের মতো গত ৮ অক্টোবর সকালে হ্নীলা থেকে সিএনজি চালিত ট্যাক্সিতে চড়ে টেকনাফ উপজেলা সদরে যাচ্ছিলেন।
কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের দমদমিয়া বিজিবি তল্লাশি ফাঁড়িতে যথারীতি সিএনজিটি থামানো হয়। সিএনজি’র ৫ জন যাত্রীর মধ্যে অপর ৪ জন যথারীতি নেমে নিয়মমাফিক তল্লাশির কাজ সারেন। কিন্তু ওই নারী নিজেকে ব্লাষ্ট এনজিও’র কর্মী পরিচয় দিয়ে দাম্ভিকতা দেখিয়ে তল্লাশি এড়ানোর চেষ্টা করতে থাকেন। এতে বিজিবি সদস্যদের কাছে সন্দিগ্ধ হন তিনি।
পরে বিজিবি’র নারী সদস্যরা এসে তাকে সিএনজি থেকে নামিয়ে তল্লাশি করেন। এতে নারী কর্মী ফারজানা আকতার বিজিবি’র ওপর ক্ষুব্ধ হন। তিনি ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে ফাঁড়ির পুরুষ সদস্যরা তাকে গণধর্ষণ করেছে মর্মে
অভিযোগ তুলেন। অথচ তল্লাশি ফাঁড়িতে ওই দিনের সিসি ক্যামেরার যাবতীয় ফুটেজ পরীক্ষা করেও এ ধরনের অভিযোগের সত্যতা মিলেনি। এমনকি তিনি ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে টেকনাফ থানায় বিজিবি সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করতে যান।
কিন্তু পুলিশ মামলায় মেডিক্যাল সনদ দরকার জানালে ওই নারী কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আসেন । হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শাহীন আবদুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত একটি মেডিক্যাল বোর্ড তাকে পরীক্ষা করে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি বলে সনদ প্রদান করেন
Leave a Reply