নাছির উদ্দীন রাজ, টেকনাফ
মাদক একটি ভয়ানক পণ্য, যাহার শেকড় অনেক অপরাধের মূল । পরিবার,সমাজ বা রাষ্ট্রকে তিলে তিলে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে পরিনত কর্তে দির্ঘ মেয়াদি কামান বলেও মনে করেন অনেক জ্ঞানীরা। সে বিধ্বংসী কামান তৈরি বা দেশে পাঠানোর নায়ক কিন্তুু মায়নমার তা স্বীকার করতে করো দিধানেই। ঐ ভয়ানক পণ্যটির বড় চালান পাইকারি ও গডপাদার দের কাছে পৌঁছে দিতে নিরাপদ সময় সন্ধা থেকে ভোর পর্যন্ত। তাই রাস্তায় প্রসাসনের নজর দারি এড়াতে ইয়াবার গডফাদারেরা নাইট গার্ডের ব্যবস্তা করেছেন তা কে জানে? প্রতিদিন এলাকা ভিত্তিক কোন না কোন স্থানে মাগরিবের আগে থেকে ভোর পর্যন্ত টেকনাফ – কক্সবাজার আঞ্চলিক সড়কে ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়াই বিভিন্ন বয়সের মানুষ। যাদের দেখে আপনার মনে প্রশ্ন বা সন্দিহান সৃষ্টি হবে না! সে যে কোন কারবারির নাইট গার্ড হিসেবে কাজ করছে। অতছ তাদের কাজ শুধু ভাল মানের পোশাক পরিধান করে রাস্তায় বসে ভাল মানুষের অভিনয় করে প্রসাশনের আনাগোনা কারবারিদের সতর্ক করতে মোবাইল কল বা মেসেজের মাধ্যমে মালিক কে বলে দেয়া। যাদের বেতন প্রতি মাসে বয়স ভিত্তিক ১০ থেকে ১৮হাজার টাকা বলে শুনা যাচ্ছে। ডিওটির ফাঁকে রাত গভীর হলে সজোগ বুঝে রাতে বিভিন্ন স্থান হতে আসা বড়, মাঝারি বা ছোট গাড়ি ডাকাতি করে যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা,স্বর্ণ সহ যাবতীয় মালামাল নিয়ে ফেলা, তাও না পাইলে প্রাণে মেরে ফেলার অভিযোগ নতুন নয় । এ ধরণের অভিযোগ সাপ্তাহ খানিকের মধ্য শুনা যাচ্ছে। স্থানিয়রা বলছেন, ১৭ থেকে ৩০ বছরের ছেলেরাই এ কাজে বেশি জড়িত হচ্ছে। তবে দুঃখের বিষয় হলেও সত্য কিছু কিছু ছাত্র বেশেও এ কাজে জড়িত, কারণ অনেকেই মনে করেন ছাত্র বললেই ছাড়া পাওয়ার সুযোগ থাকে। গত কয়েদিন আগেও হ্নীলা ইউনিয়নের রংগীখালী রাস্তার মাতা , লেদা , নয়াবাজার, মুছনি সহ বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি করছেন বলে জানিয়েছেন গাড়ির চালক গন।পরিবহন মালিক দের দাবি যাত্রীদের জানমাল রক্ষার্থে টেকনাফ – কক্সবাজার সড়কে অপরাধ সংগঠিতের স্থান গুলো চিহ্নিত করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর যৌত টহল জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে টেকনাফ হোয়াইক্যং হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ জাকির হোছাইন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,গাড়ি ডাকাতি সংগঠিতের কোন অভিযোগ গাড়ির মালিক বা চালকেরা করেনি, যদি কেউ লিখিত আবেদন করেন তা আমরা খতিয়ে দেখব। তবে আমাদের হাইওয়ে পুলিশ সব সময় রাস্তায় দায়িত্ব পালন করছে। আমরা আইন প্রয়োগকারি সংস্থা দেশে প্রচলিত মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখেছি, তবে কেউ যদি কৌশলে রাস্তায় ডাকাতি বা মাদক কাবারিদের নাইট গার্ডে হিসেবে কাজ করছে প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে তাকে নিশ্চিত আইনের আওতায় আনা হবে। উল্লেখ্য গত ১৩ নভেম্বর রাত ১১.৪৫মিনিটের সময় হ্নীলা ইউনিয়নের রংগীখালী রাস্তার মাতার দক্ষিণে একটি সিএনজি ও যাত্রীদের ডাকাতি ও মারধর করে কয়েকজন কে আহত করে জাদিমুড়া এলাকার চিকিৎসক দিলীপ কান্তী নাথ থেকে ১টি ছোট মোবাইল ১৫০০ টাকা,বিপ্লব থেকে ১টি স্কীন টাচ ১টি ছোট মোবাইল, এবং চিকিৎসক সুমন পাল ১টি স্কীন টাচ মোবাইল, ১টি ছোট মোবাইল মোবাইল নিয়েগেছে বলে জানিয়েছেন।
Leave a Reply