বিশেষ প্রতিবেদক,টেকনাফ
কক্সবাজারের টেকনাফে মৌলভী দেলোয়ার (২৯) নামের এক মাদ্রাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে হেফজ খানার শিশু ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে অভিযুক্ত কে এলাকা থেকে সরিয়ে দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দিয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় মেম্বার বশিরের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) দিবাগত রাতে হ্নীলা ইউনিয়নের দারুল উলুম মোহাম্মদীয়া নূরানী এবতাদায়ী মাদ্রাসায় এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মৌলভী দেলোয়ার একই এলাকার বাসিন্দা এবং ওই মাদ্রাসার শিক্ষক ও মসজিদের খতিব। ঘটনার শিকার শিশু একই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র।
ভিকটিমের চাচা সানাউল্লাহ জানান, মৌলভী বাজার পূর্ব রোজার ঘোনা এলাকায় শুক্রবার রাতে মৌলভী দেলোয়ার কর্তৃক মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ৯বছরের এক শিশু ছাত্র বলাৎকারের শিকার হয়। পরের দিন শুক্রবার সকালে ঘটনার শিকার শিশুটি তার পরিবারকে গিয়ে বিষয়টি জানায়। শিশুটির পরিবার আত্মসম্মানের ভয়ে কয়েকজন নিকট আত্মীয়কে বিষয়টি জানায়। তারা বিষয়টি স্থানীয় মেম্বার বশিরকে জানালে তিনি অভিযুক্ত মৌলভী দেলোয়ারকে নিয়ে শনিবার স্থানীয়দের উপস্থিতিতে শালিশী বৈঠকে বসেন।
শালিশে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় এমন কয়েকজন ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে ‘বার্তা বাজার’কে বলেন- মেম্বার বশির অভিযুক্ত দেলোয়ারের কাছে একটি খালী স্ট্যাম্পে সই নিয়ে মাদ্রাসা ও মসজিদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে এলাকা ছাড়ার শর্তে বিষয়টি সমাধান করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকটি সূত্র জানান, ওই বৈঠকে ভিকটিমের বাবা, মা ও চাচাসহ স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তির উপস্থিতিতে মেম্বার বশির বিষয়টি নিষ্পত্তি করেছেন। এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে মেম্বার বশির অভিযুক্ত মৌলভী দেলোয়ারের কাছে মোটা অংকের উৎকোচ নিয়েছেন বলেও এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্রটি।
অভিযুক্ত মৌলভী দেলোয়ার ‘বার্তা বাজার’কে বলেন- আমার বিরুদ্ধে বলৎকারের অভিযোগ তুলে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। মেম্বার বশির ও অবিভাবকরা খালি ষ্ট্যাম্পে সই নিয়ে বিষয়টি মিলমাট করে দিয়েছেন। এই ঘটনায় তিনি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবী করেন।
মেম্বার বশির জানান, বিষয়টি তিনি অবগত রয়েছেন। তবে বৈঠকে তার উপস্থিত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
টেকনাফ থানার ওসি হাফিজুর রহমান জানান, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি জানেন না। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে
Leave a Reply