অনুসন্ধানী প্রতিবেদক,টেকনাফ
কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যং পাড়া ১নং ওয়ার্ড গেদার পাড়া নামক এলাকায় এক রোহিঙ্গা মহিলার ভোটার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঐ মহিলার নাম নুর বেগম ওরফে বার্মায়ানি নুর বেগম নামে ওই রোহিঙ্গা শুধু ভোটার তালিকায় নাম উঠিয়েছেন তা নয়, তার স্বামী আমির হোসেনের মা-বাবা কে তার বাবা-মা সাজিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্রে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। যার পরিচয় পত্রের নং-4655973123।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, ইতি পূর্বে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসে নাইট্যং পাড়ার আলি আহমদ এর ছেলে আমির হোসেন কে বিয়ে করে এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছেন দীর্ঘদিন থেকে।
পাশাপাশি মিয়ানমার থেকে আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে মাদক এনে ব্যবসা করে এলাকার যুব ও ছাত্র সমাজ কে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। আর এ সবই তিনি করছেন স্থানীয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করার মাধ্যমে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না থাকায় রোহিঙ্গা নারী ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। এ নিয়ে স্থানীয় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, নুর বেগম একজন রোহিঙ্গা নাগরিক। তিনি নাইট্যং পাড়া এলাকায় বিয়ে করে শ্বশুর-শাশুড়িকে মা-বাবা সাজিয়ে ইতিমধ্যে ভোটার তালিকায় নাম উঠিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে এলাকায় মাদক কারবারের অভিযোগও রয়েছে।
বর্তমানে ঐ রোহিঙ্গা মহিলার মা ও বাবা সব্বির প্রকাশ জসিমসহ পুরো পরিবার টেকনাফ নয়া পড়া মুচনী রোহিঙ্গা শিবের রয়েছে।
এভাবে রোহিঙ্গারা দিনদিন ভোটার তালিকায় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে বলে এলাকা বাসীর ধারণা।
এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এবং ঐ রোহিঙ্গা নারীর ভোটার তালিকা কিভাবে অন্তর্ভুক্তি হলো তা? খতিয়ে দেখার আহ্বান জানান সচেতন মহল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্হানীয় এক ব্যক্তি জানান, নুর বেগম একজন রোহিঙ্গা নাগরিক। কিন্তু প্রকৃত তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে তিনি বাংলাদেশি নাগরিক হয়ে গেছেন। রোহিঙ্গা নুর বেগম মাদক কারবারি। এলাকার প্রভাবশালীদের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন থেকে। কেউ তার অন্যায়ের প্রতিবাদ করলেই নানাভাবে হুমকি ধমকি ও হয়রানিসহ মামলার শিকার হতে হয়।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ বেদারুল ইসলাম জানান,আমি বিষয়টি মিটিং এ উত্থাপন করব। অভিযোগ হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply