মোঃ আরাফাত সানী, নাছির উদ্দীন রাজ::টেকনাফ
টেকনাফে নাফনদীর কিনারা হতে আরো দুইটি মহিলা মৃতদের উদ্ধার করেছে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ। এই নিয়ে মৃতদেহের সংখ্যা দাড়ালো ৬ টি তে।
১৪ জুন (সোমরার) বিকালে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের বিশেষ দল হ্নীলা ইউনিয়নের আলী খালী এলাকার নাফনদীর কিনারায় ভাসমান অবস্থায় দুই মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে।
উল্লেখ যে, গত (শনিবার) ১২ জুন দুপুরে টেকনাফের হ্নীলার নাফ নদীর মৌলভী বাজার সীমান্ত এলাকা হতে এক রোহিঙ্গা কার্ডধারী মা ও দুই শিশু সন্তান এর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরের দিন ১৩ জুন (রবিবার) হ্নীলা ফুলের ডেইল এলাকার নাফ নদীর কিনারা হতে আরেকটি শিশুর মৃত উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ৪ টি লাশ উদ্ধার হতে না হতেই ফের আজ আরো দুই টি লাশ ভেসে উঠায় স্হানীয়দের মাঝে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। আরো কত লাশ রয়েছে কারো জানা নেই। ধারণা করে হচ্ছে এরা কি মিয়ানমার যাচ্ছে? না বাংলাদেশে আসচ্ছে? না মালেশিয়া পাড়ি দিচ্ছে। এ গুলো খতিয়ে দেখার দরকার বলে স্হানীয় লোকজন।
রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে কড়াকড়ি না থাকায় রোহিঙ্গারা দেশের বিভিন্ন স্থানে অবাধে বিচরণ করছে। ফলে এই সমস্ত ঘটনা-দুর্ঘটনা সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
এ বিষয়ে স্হানীয় হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, দীর্ঘ ৪ বছর ধরে নাম নদীতে মাছ ধরা বন্ধ। অথচ রোহিঙ্গারা কিভাবে নাফ নদীতে বিচরণ করে বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এদিকে স্হানীয় জেলেরা অভাব-অনটনে জীবন পার করছে। বিষয়টি স্হানীয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সুদৃষ্টি কামনা করছি
লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ হাফিজুর রহমান।
Leave a Reply