মোঃ শেখ রাসেল,টেকনাফ
শতবছর ধরে বসবাস করে আসা হ্নীলা পূর্বসিকদার পাড়ার উত্তর বিল গ্রামের মানুষ। শত বছরেও মেলেনি রাস্তার খোঁজ,হ্নীলা স্টেশনের এত পাশাপাশি হওয়ার পরও দেখার মত কেউ নেই। বর্ষকাল হলে পানির উপর দিয়ে চলাফেরা করতে হয় গ্রামের মানুষের,সামান্য জমির আইলের উপর দিয়ে চলাফেরা করে পাচঁশতর চেয়ে বেশি মানুষ।বর্ষকাল যেন বিলপাড়া গ্রামের অভিশপ্ত এক জীবনকাল। বর্ষকাল হলেই বন্ধ হয়ে যায়, ঐ গ্রামের স্কুল ও মাদ্রাসা পড়োয়া ছাত্রছাত্রীর লেখাপড়া।ফলে,তাদের লেখাপড়ার মনমানসিকতা ভেঙ্গে পড়ে।এক পর্যায়ে লেখাপড়া থেকে বঞ্চিত হয়।তাছাড়া,মানুষের অসুখ-বিসুখ হলে রোগী নিয়ে যেতে বা লাশ নিয়ে যেতে গ্রামের মানুষের আহাজারির শেষ নেই বর্ষকালে। এক কথায়,বর্ষকাল হল বিলপাড়া গ্রামের জন্য অভিযোজন এক জীবন,যা কষ্টের বিনিময়ে টিকে থাকতে হয়।
বিল পাড়া,গ্রাম বাসীর আক্ষেপ,এতগুলো মানুষের কষ্ট কি কারো চোখে পড়েনা,ভোটের সময় তো সবাই আসে। কিন্তু, শত পরিবারের কষ্ট লাঘব করার জন্য তো কেউ আসেনা।
বিলপাড়া গ্রামবাসীর অনুরোধ, তারুণ্যের জননেতা,গরীবের জনদরদী চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলীকে সুদৃষ্টির আকর্ষণ করছে। গ্রামবাসী বলেন, গরীবের দরদী চেয়ারম্যান চাইলে পারে শতবছরের রেকর্ড় ভেঙ্গে একটা ছোটকাট রাস্তা ব্যবস্থা করার।আক্ষেপে বলেন,যদি চেয়ারম্যান আমাদের কষ্টগুলো বুঝে,তাহলে তিনি অবশ্যই আমাদের জন্য কিছু না কিছু ব্যবস্থা করবেন। এই আশা নিয়ে চেয়ারম্যান মহোদয়ের কাছে বিশেষ আকুতি বিলপাড়া গ্রামবাসীর।
Leave a Reply