ডেস্ক নিউজ টেকনাফ৭১
টেকনাফ উপজেলার আওতাধীন হ্নীলা বাস স্টেশন চৌরাস্তার মোড় থেকে পুরাতন বাজার সড়কে এটা অব্যাহত আছে প্রায় ১৫-২০ বছর ধরে। এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা হয় বিজিবি ক্যাম্প,কাস্টম অফিস,ভূমি অফিস,পোস্ট অফিস,হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়,হ্নীলা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,শাহ মজিদিয়া মাদ্রাসা,দাতব্য সেবালয় গোলফরাজ ফাউন্ডেশনের মতো স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ও সরকারি অফিস সমূহে,ছিলো হ্নীলা ইউপি অফিসও সতরাং এই সুবাদে এই রোট দিয়ে উক্ত ২০ বছরে নিয়মিত চলাচল করে আসছিলেন / আসতেছেন সম্মানীয় সাবেক এমপি,উপজেলা জেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও সদ্য প্রয়াত ভাইস চেয়ারম্যানও প্রয়োজনে চলাচল করতেন।
চলাচল করে আসছিলেন প্রয়াত চেয়ারম্যান মরহুম এইচ কে আনোয়ার ও মরহুম মাস্টার মীর কাসেম। চলাচল করে আসতেছেন পার্শ্ববর্তী মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারি হুজরও। উক্ত ২০ বছরের চার বারের নির্বাচিত প্রায় অর্ধশত মেম্বারগণও চলাচল করে যাচ্ছেন। তাছাড়া এই রাস্তায় অবস্থিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহের দুর দুরান্ত থেকে পড়তে আসা হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী বৃন্দ।জীবিকার তাগিদে আরো অনেক মানুষ এই পথে যাতায়াত করে আসছেন অনন্ত কাল ধরে। এবার মূল কথায় আসি, সামান্য বৃষ্টিতে কিংবা সড়কের পাশে কোন দালান নির্মাণের কাজেও যদি পানি ইউজ করা হয়ে থাকে তাতেও যে কী অবস্থা হয় তা একমাত্র ভোক্তভোগিরা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা ভাল ভাবে অবগত আছেন। উপজেলার অন্যতম ব্যস্ততম ব্যাবসায়িক প্রাণকেন্দ্র হ্নীলা বাজারে যারা বাজার করতে আসে তারাও জানে কর্দমাক্ততা কাকে বলে। সামান্য বৃষ্টিতে বাজারে অনেক দোকান পাটের ভেতরে ও এই এলাকার দরিদ্র পরিবার গুলোতেও পানি সেচ দিয়ে রাত্রি যাপন করতে হয়।
এলাকার জন সাধারণ,ছাত্র সমাজ,ব্যাবসায়ি সহ সকলের একমাত্র দাবি আমরা এই সমস্যার নিরসন চাই, চাই একটি দীর্ঘস্থায়ী টেকসই ড্রেনেজ ব্যবস্থা সহ ভাল মানের সড়ক। কেন এই ব্যস্ততম সড়কের দেখভাল করা হচ্ছেনা সেই কাল থেকে? এই সড়ক নিয়ে কেন রাজনীতি করা হচ্ছে? উল্লেখিত সময়কালে নির্বাচিত জন প্রতিনিধিদের চোখে কি এসব পড়েনি? অনেকে আবার কবরেও চলে গেছেন তাঁরা আল্লাহকে কী জবাব দেবে? জনমুখে এখন এই প্রশ্ন। অবশ্য মাঝে দুয়েকবার মেরামত করা হয়েছিলো খুব বাজেভাবে, টিকাদার ও প্রভাবশালী চক্রের দূর্ণীতির কারণে এই সড়কের এই দশা। বর্তমানেও হালকা কাজ শুরু করেছে। জোড়াতালির উন্নয়ণ আর কত দেখবো আমরা? প্রশ্ন সচেতন মহলের। ড্রেনেজ ব্যাবস্থা না থাকার কারণে সড়কের পার্শ্ববর্তী বাড়ির টয়লেটের ময়লা ছেড়ে দেয়াও এই রোটে যাতায়াত কারিদের নিয়মিত দেখার দৃশ্য। সব তো দেখি শক্তের ভক্ত আর নরমের জম।
এভাবে হলে খোদার কাছে জবাবদিহি করা যাবে? সড়কের বর্তমান মেরামত কাজ যে কত বাজে হচ্ছে তা বলার মতো না সম্ভবত এলাকার মানুষ বাধা দিতে প্রস্তুত হচ্ছে সেই কাজে। আরে প্রয়োজনে আরো ২০ বছর অপেক্ষা করতাম একটি টেকসই সড়কের জন্য। কেন এই ফাঁকিবাজি? কেন এই দূর্ণীতি কাজে? উপরে উল্লেখিত সরকারি দফতরের অফিসার,এই রোটে চলচল করা জন প্রতিনিধি গণের প্রতি জনগণের দঢ়বিনীত অনুরোধ দয়াকরে আপনারা জনস্বার্থে বশঃবর্তী না হয়ে এই সড়কের জন্য আন্তরিকতা বাড়ান।
এ বিষয়ে হ্নীলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী এক বার্তায় বলেন,,হ্নীলা স্টেশন থেকে পুরাতন বাজার রাস্তা ও ড্রেইনের টেন্ডার হয়েছে ইতিমধ্যে কাজ করার জন্য মালামাল এনেছে,কিন্তু করোনা মহামারির কারনে কাজ বন্ধ হয়ে আছে। কয়েকদিনের অতিবৃষ্টির কারণে অনেকের ভোগান্তি হচ্ছে।###
Leave a Reply