1. akfilmmultimedia@gmail.com : admin2020 :
  2. teknafchannel71@gmail.com : teknaf7120 :
মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
টেকনাফ থেকে পায়ে হেঁটে তেঁতুলিয়ার উদ্দেশ্যে সেই যুবতী তাহুরা জুলাই বিপ্লবের পরে টেকনাফে ৩৩ মামলায় ৭৫ জন গ্রেফতার ৫ অস্ত্র, ৫১ গুলি,৪০ হাজার ইয়াবা সহ ১০০ লিটার মদ উদ্ধার টেকনাফে সিএনজি গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ১৮৯৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দিয়ে উদ্ধার হল অপহৃত যুবক! থানায় অভিযোগ মাদক ও অস্ত্র ব্যবসাকে আড়াল করতেই পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার! সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে- ওসি টেকনাফ শিশুকে অ’স্ত্র মামলায় হাজতবাস: টেকনাফের ওসির অ’পসারণ দাবিতে ঢাবিতে মানববন্ধন ওসির আশির্বাদে বদলির পরেও টেকনাফে বহাল মোশাররফ! অবশেষে সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু নয়াবাজার ঘর পোড়া মামলায় আমির হামজা কে মিথ্যা ভাবে আসামি করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ টেকনাফে সাগরে দুই শিশু গোসলে নেমে নিখোঁজের ১৫ ঘণ্টার পর মৃতদেহ উদ্ধার

স্ত্রীসহ ৪ সহোদরের নির্যাতনের বিরুদ্ধে আদালতে গৃহকর্তার মামলা; প্রাণনাশের হুমকি

  • আপডেট সময় : সোমবার, ১৭ আগস্ট, ২০২০
  • ৩৩৫ বার পড়া হয়েছে

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

সংসার সুখে হয় রমনীর গুণে এবং সুখের সংসার ভেঙ্গে তছনছ হয়ে যায়, তাও রমনীর কারণে। মানুষ খুন হয় তাও নারী ও সম্পদের কারণে। এ বাণীগুলো অপরাধ বিশেষজ্ঞদের মতে হলেও বাস্তবে ইজ্জতের ভয়ে প্রায় ভূক্তভোগী নীরবে সহ্ন্য করে অবাধ্য স্ত্রীর সাথে সংসার করে যাচ্ছে। যা সহ্ন্য করতে পাচ্ছেনা এবং বলতেও পাচ্ছেন না। শুধু মাত্র নীরবে ধুকে ধুকে মরছে স্বামী। পুরুষ নির্যাতন আইন না থাকায়, নারী নির্যাতন আইনকে অবাধ্য স্ত্রী সন্দেহ প্রবণতা এবং সম্পদের উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে স্বামীর উপর এবং পরবর্তীতে হয়ে যায়, নারী নির্যাতন ও যৌতুকদাবী মামলা। আজ এমন এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটছে, লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের হায়দারনাশী ৬নং ওয়ার্ডে। বিগত ২৪ বছর পূর্বে হাদিয়ারনাশী একই ওয়ার্ডের মৃত মফিজ উল্লাহর পুত্র আহছান উল্লাহর (৪৯) সাথে মৃত আব্দুল আলীর মেয়ে হালিমা বেগমের (৪২) এর সাথে ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহের ৫/৬ বছর সূখের সংসার জীবনে ছেলে সন্তান এ ধরায় আগমন ঘটেনী। উভয়ের সম্মতিতে পালক মিশকাতুল জান্নাত ৭দিন বয়সের শিশুকে লালন পালন করে আসছিল। পরবর্তীতে স্ত্রী হালিমা বেগম পরকীয়া প্রেমে জড়িত হয়ে পড়লে ওদের সূখের সংসার জীবনে নেমে আসে কালো অধ্যায়। এভাবে চলে সংসার জীবনে জ্ঞাত প্রতিজ্ঞাত। সহ্ন্যের মাত্রা স্বামী আহছান উল্লাহর পিট দেয়ালে ঠেকে গেলে, সে হয়ে পড়ে উপায়হীন । স্ত্রী হালিমা বেগমের পরকীয়া প্রেমের বাঁধা দিতে গিয়ে এটি তার জন্য ভবিষ্যতে কাল হয়ে দাঁড়ায়। ওদের সংসার জীবনে চলে আসে পুরুষ নির্যাতনের নামে পাশবিক নির্যাতনের পালা। অবশেষে স্বামী আহছান উল্লাহর অর্জিত জায়গা জমি, বসতবাড়ী ও অর্থের উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে স্ত্রী হালিমা বেগম এবং তার আপন ৩ সহোদর নেজাম উদ্দীন (৩০), নুরুল হোসাইন (৩৬) ও শের আলী (৪৮)। স্বামী আহছান উল্লাহর নামে ফাঁসিয়াখালীর ২৮৬নং মৌজায় আর/১০৯৫নং হোল্ডিং এর আন্দরে ০.২৫ শতক জায়গা রেকর্ডভূক্ত এবং উক্ত জায়গার উপর দীর্ঘ ১৪ বছর যাবৎ ধরে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ পালা সহ সেমি পাঁকা বাড়ী ঘড় নির্মাণ করে বসবাস করে আসছিল। স্ত্রী হালিমা বেগম পরকীয়া প্রেমের স্বামী বাঁধা দিতে গিয়ে সে হয়ে যায়, অবাধ্য স্ত্রী। এমতাবস্থায় স্বামীর অর্জিত জায়গা ও বসত বাড়ী জোর পূর্বক দখলে মেতে উঠায় শেষ পর্যন্ত গ্রহকর্তার প্রাণনাশের পরিকল্পনার গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে যায়। অবশেষে স্বামী আহছান উল্লাহ চলতি বছর ৬ ফেব্রুয়ারী/২০২০ সালে নিজে বাদী হয়ে স্ত্রী হালিমা বেগমকে প্রধান আসামী করে ৪ জনের বিরুদ্ধে লামা উপজেলা হাকীমের আদালতে একটি জিডি করে। যার জিডি নং ০১/২০২০। এছাড়াও ২১ মার্চ/২০২০ সকাল ৮ টায় অবাধ্য স্ত্রী হালিমা বেগমের নেতৃত্বে ৩ সহোদর নেজাম উদ্দীন, নরুল হোসাইন ও শের আলী পারিবারিক তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বসত ভিটায় অনুপ্রবেশ করে এবং স্বামী আহছান উল্লাহকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে বেদড়ক ভাবে মারধর করতে থাকে এবং তার শুর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে রক্ষা করে। জানা যায় ওরা নাকি সন্ত্রাসী ডাকাত প্রকৃতির লোক। এর প্রতিকার চেয়ে সে ঐ দিন লামা ফৌজদারী আদালতে নিজে বাদী হয়ে মৃত আব্দুল আলীর পুত্র নেজাম উদ্দীনকে প্রধান আসামী করে ৪ জনের বিরুদ্ধে মারামারীর মামলা দায়ের করে এবং মামলা নং সি,আর ৭৩/২০২০। উল্লেখ্য, অভিযুক্ত নেজাম উদ্দীন নুরুল হোসাইন ও শের আলী এ ৩ সহোদরের বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় একাদিক মামলা রুজু রয়েছে। উক্ত মামলা মাথায় নিয়ে ওরা ভিন্ন বান্দরবান জেলার লামাউপজেলা ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের হায়দারনাশী ৬নং ওয়ার্ডে আতœগোপনে স্থায়ী ভাবে বসবাস করে আসছে। উল্লেখ্য এর আগে লামা থানায় গ্রহকর্তার গাছপালা ও বাড়ি ঘর ভাংচুর নির্যাতন সংক্রান্ত বিষয়ে গৃহকর্তা আহাসান উল্লাহ বাদী হয়ে স্ত্রীসহ ৪জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করে। তদন্তকারী কর্মকর্তা এস,আই আরিফ এ প্রতিবেদককে মোটেফোনে বলেন, বসতবাড়ী গাছ পালা কাটা ও নির্যাতন সংক্রান্ত ভুল বুঝাবুঝি বিষয়ে উভয়ের মধ্যে বিচার মিমাংসা করা হয়েছিল। পরবর্তীতে কি হয়েছে তা আমি জানিনা।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর
error: Content is protected !!