প্রেস বিজ্ঞপ্তি
টেকনাফ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আজ ব্র্যাকের উদ্যোগে জিআইজেট (GIZ) ফান্ডেড প্রোজেক্টের লার্নিং শেয়ারিং সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।এ সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও ডেপুটি ম্যানেজার, নলেজ ম্যানেজমেন্ট এন্ড কমিউনিকেশন্স পলাশ মাহমুদের সঞালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জনাব নুরুল আলম। অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডাঃ শওকত আলী, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার নুরুল আফসার, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সৈকত হোসেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ভবসিন্ধু রয়, মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ সাকিয়া হক, হোয়াইকং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর আলম আনোওয়ারী, বাহারছড়া ইউনিয়নের মেম্বর মোঃ ইউনুছ, ব্র্যাকের প্রজেক্ট ম্যানেজার নজরুল ইসলাম। এ সময় ব্র্যাকের রিজিওনাল ম্যানেজারসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ, ইউনিয়ন পরিষদের সচিববৃন্দ, প্রজেক্টের উপকারভোগী সদস্য ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন প্রোজেক্ট ম্যানেজার নজরুল ইসলাম, তিনি বলেন এই প্রজেক্টটির মাধ্যমে আমরা টেকনাফ উপজেলার হোয়াইকং ও বাহারছড়া ইউনিয়নের ৪০০ জন সদস্যকে জীবিকায়ন ও দক্ষতা উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করতে সক্ষম হয়েছি, বর্তমানে উক্ত পরিবারগুলোর আর্থিক ও সামাজিক অবস্থার উন্নতি ঘটেছে।
এরপরে “Livelihood and enterprise promotion for the host community households in Teknaf” প্রজেক্টের উল্লেখযোগ্য কাজগুলো প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরেন পলাশ মাহমুদ।
হোয়াইকং ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বলেন, “ব্র্যাকের এই প্রজেক্টের শুরু হতে আমি যুক্ত ছিলাম, আমি অভিভূত হয়েছি ব্র্যাকের কাজের স্বচ্ছতায়। ব্র্যাকের কর্মীরা গ্রামে গ্রামে জরিপ করে অতি দরিদ্র মানুষদের বাছাই করেছেন, এরপরে তাদেরকে স্ব স্ব এন্টারপ্রাইজের প্রশিক্ষণ দিয়ে সম্পদ হস্তান্তর করেছেন, আর উক্ত সম্পদ হস্তান্তর অনলাইনে সম্মানিত ইউএনও মহোদয় উদ্ভোধন করেন। আমি প্রত্যাশা করি এমন ভাল কাজগুলো ব্র্যাক অব্যাহত রাখবেন।”
উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার নুরুল আফসার বলেন, “কোভিড১৯ এর মহামারীতে ব্র্যাক এই প্রজেক্টের প্রত্যেক সদস্যকে প্রতি মাসে ৪৫০০ টাকা দিয়েছে ৬ মাস পর্যন্ত যা অতি দরিদ্র মানুষের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ন, আমার সুযোগ হয়েছে উক্ত বিতরণে উপস্থিত থেকে টাকা বিতরণ করার। এমন মহৎ কাজ গুলো ব্র্যাক অব্যাহত রাখবে সেই প্রত্যাশা করি।”
উপকারভোগী সসস্যদের মধ্যে হতে নুর বেগম বলেন, “আমি অনেক শোকরিয়া করছি ব্র্যাকের সহযোগিতা পেয়ে, করোনার মহাবিপদের সময়ে আমি বকনা গরু, ছাগল, মাস্ক, হ্যান্ড ওয়াশ ষ্টেশন, বালতি-মগ-প্লেটসহ প্রতি মাসে ৪৫০০ টাকা বিকাশের মাধ্যমে পেয়েছি।”
প্রধান অতিথি বলেন, “স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রেখে ব্র্যাক জনসাধারণের উন্নয়নের জন্য এমন জীবিকায়নের প্রজেক্ট গুলো আগামীর দিনগুলোতে অব্যাহত রাখবে সেই আহ্বান জানাই। আমি ব্র্যাকের প্রতিনিধিদের অনুরোধ করবো সদস্য বাছাই প্রক্রিয়ায় বেশি সজাগ দৃষ্টি রাখতে কারন একই ব্যক্তি কোন ভাবেই যেন একাধিকবার সাপোর্ট না পায়। আপনারা খুঁজে খুঁজে যে ব্যক্তি কোন জীবিকায়ন সহযোগিতা পায়নি তাদেরকে সহযোগিতা করবেন। টেকনাফ উপজেলার মানুষের জন্য যে নিরলসভাবে কাজ করে চলছেন তার জন্য ব্র্যাক ও GIZ কে অসংখ্য ধন্যবাদ।”
Leave a Reply