সংবাদ দাতা
টেকনাফের হ্নীলা ইউপির ৭নং ওয়ার্ডের উত্তর আলীখালীতে লবণ চাষী নজির আহমদ হত্যার ঘটনা কে কেন্দ্র করে বিবাদীদের বাড়ি ঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগীরা । হত্যাকাণ্ডের পর থেকে বিভিন্ন অভিযানের ভয়ে গ্রাম ছেড়ে চলে গেছেন অধিকাংশ নারী- পুরুষ। এর সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তাদের বাড়ি ঘরে প্রতিদিন দুর্বৃত্তদের এমন আচরণ বলে জানিয়েছে ।
বুধবার (১মার্চ) রাতে উত্তর আলীখালীর পূর্ব পাশে ওই হত্যার ঘটনা ঘটে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরিবারের সদস্য জানান, রাতের আধাঁরে একটি ঘটনায় নজির আহাম্মদ নিহত হয়। কে বা কারা তাকে মেরেছে সেটা আমরা জানিনা, অথচ বাদিরা আমাদের কে তাদের সাথে পূর্বে জায়গা জমিনের বিরোধ থাকার কারণে মিথ্যা ভাবে মামলায় জড়িয়ে করে।
তিনি আরো জানান, প্রতিদিন রাত হলে আমাদের বাড়ি ঘরে তাদের দলবল নিয়ে হামলা করে কিছু দুর্বৃত্তের মাধ্যমে । আমরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করছি। আমাদের মনে হচ্ছে যারা আমাদের মামলা দিয়ে গ্রাম ছাড়া করেছে তারাই ওই সব কাজ করছে। বাড়িঘরের হামলা ও ভাঙচুরের দেখলে তাদের কাছে মানবতার যে লেচ মাত্র নেই সেটা মনে হচ্ছে। গত কিছু দিন ধরে ওই এলাকার আবুল হোসেন প্রকাশ ভুলু মিয়া, মোহাম্মদ মিয়া, কালা চান, আনোয়ার হোছন, ছৈয়দ আলম, মেজর আলম, আক্তার হোছাইন, আব্দুর রহিম সহ বেশ কিছু বাড়ি ভাঙচুর লুটপাট হয়েছে বলে দাবি করেন ।
স্থানীয় এক মানবাধিকার কর্মী জানান, ঘটনা প্রেক্ষিতে মামলা হয়েছে, আইনগতভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার ব্যবস্থা নেবে। এরইমধ্যে সাধারণ মানুষের বাড়ি ঘর ভাঙচুর মানবাধিকারের লঙ্ঘনের শামিল। আমাদের পক্ষ থেকে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার পরামর্শ রয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মামলার বাদি সৈয়দ আহাম্মদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার ভাই হত্যার পর হতে আমরা বাড়ির নারী /পুরুষ সবাই এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় চলে এসেছি কে বা কারা তাদের বাড়ি ঘরে এরকম করতে তা জানিনা, তবে এ সব কাজ আমরা করিনি।
এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুর রাজ্জাক জানান, উক্ত বিষয়ে আমার জানা নেই, আমি আসছি বগুড়ায় সাক্ষী দিতে। আগামীকাল আসব এসে তা দেখব।
Leave a Reply