নাছির উদ্দীন রাজ, টেকনাফ।
কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদী হয়ে মিয়ানমারের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে ২৭ সদস্যদের একটি প্রতিনিধি দল। যেখানে ২০ জন রোহিঙ্গা, এর মধ্যে ৩জন রোহিঙ্গা নারীও রয়েছে। ১জন অনুবাদক ও ৬ জন বিভিন্ন দপ্তরের বাংলাদেশি কর্মকর্তা রয়েছেন। পাশাপাশি তাদের নিরাপত্তার জন্য ২টি বিজিবির স্পিড বোট সহ ১৬ জন বিজিবি সদস্য রয়েছে বলে জানাগেছে।
শুক্রবার (৫মে) সকালে বাংলাদেশ – মিয়ানমার টেকনাফ ট্রানজিট জেটি ঘটে হতে ওই টিম টি মিয়ানমারের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। প্রতিনিধি দল টি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে প্রস্তুুতি ও সেখান কার পরিবেশ পর্যবেক্ষণে করবেন বলে জানাগেছে। তবে তারা একই দিন সন্ধা নাগাত ফিরে আসবেন বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা। মূলত প্রত্যাবাসন হলে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের যেখানে তাদের রাখা হবে সে জায়গা টি পরিদর্শন করবেন বলে জানাগেছে।
শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান জানান, রোহিঙ্গারা যাচ্ছে বিষয়টা তারাই দেখবেন।
এর আগে বাংলাদেশ থেকে ৮লাখের বেশি রোহিঙ্গাদের একটি তালিকা পাঠানো হয় মিয়ানমারের কাছে। ওই তালিকা থেকে ফেরত নিতে পাইলট প্রকল্প হিসেবে প্রথম দফায় প্রায় ১ হাজার ১৪০ জনকে নির্ধারণ করে দেশটি। সেখান থেকে ৪২৯জনের বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে ছিল মিয়ানমার। পরে গত ১৫ মার্চ ১৯ সদস্যদের একটি টেকনিক্যাল টিম বাংলাদেশের টেকনাফে এসে ১৭৭ রোহিঙ্গা পরিবারের ৪৮০ জনের সাথে সাক্ষাৎ গ্রহন করে মিয়ানমারে ফিরে যায়।
তবে সচেতন মহলের ধারনা যাচাই বাছাই করা সে ৪৮০ জন দিয়ে শীঘ্রই প্রত্যাবাসন শুরু হতে পারে।
২০১৭ সালে নিজদেশে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশের উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নিয়েছিল প্রায় ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। তবে বরাবরে রোহিঙ্গাদের কামানা ছিল তাদের অধিকার গুলো নিয়ে তাদের জন্ম ভূমি মিয়ানমারে ফিরে যেতে।
Leave a Reply