নাছির উদ্দীন রাজ, টেকনাফ
কক্সবাজার টেকনাফের হ্নীলা ইউপির জামেয়া দারুসুন্নাহ মাদরাসা থেকে অপহৃত সে শিশুর মৃদদেহ উদ্ধার করেছে র্যাব-১৫’র সদস্যরা । শুক্রবার (২৮জুলাই) বিকালে ওই মাদরাসা টির ক্যাম্পােসের ভিতরে ভবনের পাশ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার শিশু টি হ্নীলা পশ্চিম সিকদার পাড়ার ছনা উল্লাহর মেয়ে ফারিহা খানম জেরিন (৮)। সে ওই মাদরাসার নূরানী বিভাগের ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী। অপহরণের পরে তাহার মুক্তির জন্য মায়ের কাছে ৫লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়েছিলেন চক্রের সদস্য বলে জানিয়েছে তাহার স্বজনেরা ।
এ বিষয়ে রাতে কক্সবাজার র্যাব-১৫ ‘র( ভারপ্রাপ্ত) অধিনায়ক মেজর সৈয়দ সাদিকুল হক, সংবাদ সম্মেলনে জানান, সে দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল আলী আহমদের ছেলে। ধৃত আসামী এবং ভিকটিম মোছাঃ ফারিহা খানম জেরিন বর্ণিত মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও দুঃসম্পর্কের মামা-ভাগ্নী। ঘটনার দিন অর্থ্যাৎ গত ২৭ জুলাই বিকাল অনুমান ৭ .৩০ ঘটিকার সময় ফারিয়া খানম জেরিন বাড়ির পাশ্ববর্তী একটি দোকানে গেলে আসামী এরফান খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে সু-কৌশলে দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসায় তার বাবার অফিস কক্ষে নিয়ে যায় এবং দরজা বন্ধ করে হাত-পা বেধে তাকে ধর্ষণ করে। এতে ভিকটিমের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হলে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য আসামী এরফান নাইলন দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে ভিকটিমকে হত্যা করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিহিত কাপড়-চোপড় পলিথিনে করে আসামী এরফানের বাসার পার্শ্বে একটি নালায় লুকিয়ে ফেলে এবং গভীর রাতে লাশটি গুমের উদ্দেশ্যে উক্ত মাদ্রাসার পিছনে একটি নর্দমায় ফেলে চলে আসে। ধৃত আসামী আরো জানায়, সে বিষয়টিকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য অপহরণের ঘটনা সাজিয়ে মুক্তিপণের টাকা দাবী করে।
তিনি আরো জানান, তাহার হত্যা কান্ডের বিষয়ে পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply