সংবাদ দাতা
টেকনাফের হ্নীলা ৬নং ওয়ার্ডের হামজার ছড়া এলাকায় ছুরির আঘাতে আহত হন মোঃ মুছা (২০) ও তাহার পিতা কবির আহাম্মদ(৫৫)। এদের মধ্যে মোঃ মুছার হাতের কবজির উপরে বড় ধরনের কাটা গেলেও তাহার পিতা কবির আহাম্মদের কিন্তুু বগলের নিছে হৃদপিণ্ডের পাশেই বড় আঘাত যা দিয়ে দেহের ভিতর থেকে ক্রমাগত বাতাস আসছে বলে জানা গেছে। বর্তমানে তাহারা হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে তাহার পিতা কবির আহাম্মদের অবস্থা এমন যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিছু ঘন্টা উন্নতি হয়, আবার কিছু ঘন্টা অবনতি হয়। অর্থাৎ মৃত্যুশয্যায় বা আশঙ্কাজনক বলে দাবি করেছেন তাহার ছেলে মোঃ ইব্রাহীম। সে চট্টগ্রাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত (১১ সেপ্টেম্বর) তুচ্ছ বিষয় কে কেন্দ্র করে হ্নীলা হামজার ছড়া এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে একই এলাকার আব্দু রহমানের ছেলে মুজিবুর রহমান সহ তাহার ২/৩ জন মামা-ভাগিনা নিয়ে কবির আহাম্মদ গং দের উপরে দা, কিরিচ ও ছুরি নিয়ে হামলা চালায়। যেখানে ছুরির আঘাতে কলেজ ছাত্র মুছা ও তাহার পিতা কবির আহাম্মদ আহত হন।
উক্ত ঘটনার বিষয়ে কবির আহাম্মদের ছেলে মোঃ ইব্রাহীম গণমাধ্যম কে জানান, আমার পিতা ও ছোট ভাই কে মুজিবেরা শুধু ছুরি মেরে ক্ষান্ত হয়নি তারা নিজেরা এখন নতুন ভাবে বিভিন্ন মাধ্যমে আমার পরিবারে কাছে খবর পাঠাচ্ছে আমাদের ভাইয়দের মধ্যে যে কাউকে পেলে নাকি তারা হত্যা করবে। শুধু তা নয় তাহার বোনের জামায় মৌলভীবাজার এলাকার ছেলে আমাদের কে প্রতিদিন মোবাইলে হুমকি আর হুমকি দিতেই আছে। কেন আমরা বাবা -ভাইয়ের হত্যা চেষ্টার বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানায় বাদি হয়ে তাহার শাশুর বাড়ির লোক জনের বিরুদ্ধে আবেদন করেছি। যা মোবাইলে ধারণ করা আছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের পরিবারের কেউ এখন বাড়ি থেকে বের হতে পাড়ছেনা তাদের ক্রমাগত হুমকির ভয়ে, ছোট ছেলে- মেয়েরা স্কুলে যেতে পারছেনা। বাড়ির বিভিন্ন প্রয়োজনে পরিবারের সদস্যরা হ্নীলা বাজারে পর্যন্ত যেতে পারছেনা। আমি মনে করি দেশে আইনের শাসন আছে তারা অবশ্যই আইনের আওতায় আসবে। আমার ভাই -বাবা কে ছুরি মেরে উল্টো আমাদের পরিবারে সদস্যদের হত্যার হুমকি দেয় এ রকম প্রভাবশালী আমাদের এলাকায় বিরল বলে মনে করি। ভবিষ্যতে আমার পরিবারের কোন সদস্যদের কিছু হলে সমস্ত দায়-দায়িত্ব তাদের নিতে হবে বলে দাবি মোঃ ইব্রাহীমের। যেহেতু তারা বিভিন্নভাবে হত্যার হুমকি-ধুমকি দিচ্ছে আমি টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি তাদের যেন আইনের আওতায় আনা হয়। তবে আমার পিতার জন্য দোয়া করবেন যেন মৃত্যুকুল থেকে আমার বাবা ফিরে আসে।
কেন তাদের হত্যার হুমকি দিচ্ছেন এমন জানতে চাইলে মুজিব জানান, ঘটনার পর হতে আমি আমার বাড়িতে যায়নি। তারা নিজেরা বলতেছে বলে মনে হচ্ছে। আর আমার বোনের জামায় কেন তাদের গালি গালাজ করবে, সে তো কক্সবাজার গাড়ি চালায়।
এ বিষয় টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোঃ জোবাইর সৈয়দ জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে পরবর্তী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply