মোহাম্মদ নোমান, টেকনাফ ৭১
কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইব সড়কে সন্ধ্যা পেরিয়ে অন্ধকার নামলে বাড়তে থাকে যাত্রীদের জীবন ঝুঁকি, গত কয়েকদিনে ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েই চলেছে।
যাত্রীরা জানান, বাহারছড়া ইউনিয়নের শীলখালী, নোয়াখালী, এবং সদরের রাজারছড়া, মহেশখালীয়া পাড়া, তুলাতলীসহ উপকূলীয় প্রায় এলাকাগুলো ঝুঁকিপূর্ণ।
গত ১লা এপ্রিল রাত সাড়ে নয়টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবনিয়া এলাকার আব্দুল্লাহ মোটরসাইকেল যোগে মারিশবনিয়া থেকে যাচ্ছিলেন টেকনাফের উদ্দেশ্য, পথিমধ্যে দেখতে পাই যাত্রীদের ছিনতাই, নির্যাতন করছে এমন সময় ওই গাড়িতে থাকা যাত্রীরা চিৎকার করলে আব্দুল্লাহ ঘটনাস্থল বরাবর পৌঁছলে তাকেও থামিয়ে ছিনতাইয়ের চেষ্টা এবং একপর্যায়ে গিয়ে তাকে ছুরিকাঘাত করে, পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় প্রথমে কক্সবাজার এবং পরে চট্টগ্রামের প্রেরণ করেন।
এছাড়া ২৭ মার্চ টেকনাফ সদরের উত্তর লম্বরী এলাকার সুমন শীল রাতে শামলাপুর থেকে ক্রিকেট খেলা শেষ করে বাড়ির ফেরার পথে মেরিন ড্রাইভে শীলখালী নামক এলাকায় অস্ত্রধারী ছিনতাইকারীরা তাকে ধাওয়া করে এবং তাকেও আহত করে।
এবং সম্প্রতি শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) রাতে সদর ইউনিয়নের তুলাতলী নামক স্থানে কক্সবাজারগামী নীল দরিয়া গাড়িকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়ে মারে এবং গাড়ী থামালে ড্রাইভারকে টানাহেঁচড়ার করে এসময় ড্রাইভার আহত হয় বলে জানা যায়।
স্থানীয়দের অভিমত, পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ছিনতাইয়ের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ দিয়ে চলাচলে যাত্রীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে, যেকোনো মুহুর্তে ঘটতে পারে হতাহতের আশংকা।
এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হাফিজুর রহমান জানান, সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভে পুলিশের বিশেষ টহল দল মোতায়েন রয়েছে এবং থাকবে। ওইসব দুষ্কৃতকারীদের সনাক্তের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply