নিজস্ব সংবাদ দাতা
টেকনাফে এন ও সির লাইসেন্স ছাড়া এল পি জি গ্যাস বিক্রির অভিযোগে টেকনাফ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এরফানুল হক চৌধুরী নাফ পেট্রোল পাম্পের এল পি জি অটো ষ্টেশনে অভিযান পরিচালনা করেন। বুধবার (২৪মে) দুপুরে টেকনাফ পৌর শহরের নাফ পেট্রোল পাম্পের এল পি জি অটো ষ্টেশনে ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
একটি সূত্রে জানা গেছে, নাফ পেট্রোল পাম্পের তত্ত্বাবধায়ক মোঃ দিদার হোসেন গংরা দীর্ঘদিন ধরে তাহাদের পৈত্রিক ও মাতৃক সম্পত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত নাফ পেট্রোল পাম্পের লাইসেন্স তাহার মা আম্বিয়া খাতুনের নামে করে তাদের নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালিয়ে আসছিল। কিন্তুু তাহার মা মৃত্যুর পরে তাহার চার সন্তান যৌথভাবে একই স্থানে ও সম্পদ থেকে ব্যবসা পরিচালনা করে পরম সুখে ভোগ করে আসছিলেন।
কিন্তুু তাদের চার ভাইয়ের মধ্যে দুই ভাইকে অভিহিত না করে তাদের সম্পত্তি বা ব্যবসা থেকে বঞ্চিত করতে মোঃ দিদার হোসেন সহ অপর ভাই অবৈধভাবে এলপিজি অটো গ্যাস ষ্টেশন চালু করে ব্যবসা করে আসছিল বলে জানাগেছে। যা রবিউল হোসেন সহ অপর ভাইয়ের সম্পুন্ন অজানা বলে দাবি করেন।
উক্ত বিষয় নিয়ে নিষ্পত্তির জন্য দুই পক্ষই আদালতে মামলা করেছেন এবং তা চলমান রয়েছে বলে জানান উভয় পক্ষ।
এ বিষয়ে রবিউল হোসেন জানান, আমার মায়ের মৃত্যুর পরে আমাদের অজান্তে মায়ের লাইসেন্স দেখিয়ে আমার বড় ভাই এলপিজি গ্যাস এককভাবে মালিকানা করে ব্যবসা চালিয়ে আসছে যা আমরা জানি না। তবে আমাদের মায়ের দেওয়া বিধি অনুযায়ী আমরাও ওই এলপিজি গ্যাস ষ্টেশান টি হতে সমান ভাগ পাব।যেহেতু নাফ পেট্রোলপাম্প এর লাইসেন্স আমার মায়ের নামে। কিন্তুু সে এখন আমাদের দুই ভাইকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত করে। আমরা এ বিষয়ে যথাযথ বিচার আশা করছি।
দিদার হোসেন জানান, এল পিজি গ্যাস সম্পূর্ণ অনুমোদিত ও বৈধ এবং আমাদের দুই ভাইয়ের ব্যক্তিগত টাকা দিয়ে করা একটি প্রতিষ্ঠান। তবে এর বিষয় নিয়ে আমার অপর দুই ভাই যে বৈরিতা আচরণ করছে তানি আমার যথেষ্ট ডকুমেন্টস পত্র রয়েছে। তবে কিছু বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) এরফানুল হক চৌধুরী জানান, অভিযান এসে গ্যাস পাম্প এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও কাগজপত্রের অসঙ্গতি দেখেছি যা পরবর্তীতে বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply