“খোলা চিঠি”
আমি টেকনাফ উপজেলার মফস্বল অঞ্চল ৫নং বাহারছড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ শিলখালী গ্রামের ৮ সদস্য বিশিষ্ট নিম্নবিত্ত পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী সন্তান। কিন্তু করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে বিগত দুই মাস ধরে আমি বেকার। বর্তমানে আমার পরিবারের সাবান পানি দিয়ে হাত ধুয়া ছাড়া আর কোনো কাজ নেই। এহেন পরিস্থিতিতে আমার পরিবার পথে বসার উপক্রম। আমার মতো অসংখ্য পরিবারও বর্তমানে পথে বসতে চলেছে।
কিন্তু করোনার প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় সরকারি বেসরকারি মাধ্যমে ত্রান এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হলেও কিন্তু অধিকাংশ সত্যিকারের অসহায় পরিবারগুলো বঞ্চিত হচ্ছে। পাশাপাশি স্থানীয় মেম্বারের ভোটব্যাংকের বিপক্ষের লোক বলে আমার মতো অসংখ্য পরিবার সহায়তা থেকে বঞ্চিত। যারা সহায়তা পাচ্ছে তারা সবাই একাধারে মেম্বারের ভোটব্যাংকের লোকজন। যেখানে বিত্তশালী পরিবারও স্থান পায়। জনপ্রতিনিধির ক্ষমতাবলে সরকারি ত্রান সহায়তা ও বেসরকারি সংস্থার সহায়তার ক্ষেত্রে নিজেদের ইচ্ছে মতো চাহিদা তালিকা দেওয়াটা কতোটা যুক্তিপূর্ন? এমন কার্যকলাপ কেমন সুজনপ্রতিনিত্বের পরিচায়ক?
এটি কি চাল বা তেল চুরির চেয়ে কম অপরাধ? এ বিচার কার কাছে দেব?
এর দায় কে বা কারা নেবে?
আমি সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে এমন গুরুতর অসংগতি তথা অসম বণ্টনের তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ ও সুষ্ঠু বণ্টন নিশ্চিতের জোর দাবি জানাচ্ছি।
নিবেদক,
শাহাব উদ্দিন,সহকারী শিক্ষক,
জাহাজপুরা মাঠপাড়া দাখিল মাদরাসা,বাহারছড়া,টেকনাফ।
Leave a Reply