সংবাদ দাতা হ্নীলা

মুক্তি ককসবাজার কর্তৃক হ্নীলা ইউনিয়নে প্রকল্পের সুবিধাভোগী ও অন্যান্য অংশীজনদের নিয়ে মার্কেট লিংকেজ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) মুক্তি ককসবাজার কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ও অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশের কারিগরি ও আর্থিক সহযোগিতায় “Supporting Rohingya and Host Communities in Cox’s Bazar Through the Promotion of Homestead Gardening and Vibrant Livelihood Opportunities” প্রকল্পের সুবিধাভোগী ও অন্যান্য উপকারভোগীর সাথে বাজার সংযোগ জোরদার এবং বিভিন্ন বাজার অংশীজন ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে কার্যকর সমন্বয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদ হলরুম,টেকনাফ, কক্সবাজার এ একটি মার্কেট লিংকেজ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কর্মশালাটির মূল উদ্দেশ্য ছিল হস্থশিল্প ও টেইলারিং উৎপাদকদের সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তর এবং অন্যান্য অংশীজনদের মধ্যে একটি কার্যকর যোগাযোগ ও সমন্বয় প্লাটফর্ম তৈরি করা, যাতে উৎপাদকরা টেকসইভাবে বাজারে তাদের পণ্য সরবরাহ করতে পারেন এবং আয়ের সুযোগ বৃদ্ধি পায়।
প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোঃ ফয়সাল বারীর পরিচালনায় উক্ত কর্মশালায় হ্নীলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আলী এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইমামুল হাফিজ নাদিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অনিক চৌধুরী, প্রকল্প কর্মকর্তা , মোঃ হাবিবুর রহমান।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন যে, বাজারভিত্তিক উৎপাদন, ভ্যালু চেইন উন্নয়ন এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের টেকসই জীবিকায়নে, সরকারি বিভিন্ন সহায়তার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন, স্থানীয় প্রশাসন উৎপাদকদের বাজারে সংযুক্ত করতে এবং উদ্যোক্তা উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করবে। তিনি মুক্তি কক্সবাজার এর এ ধরনের কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং এ ধরনের আয়বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য আহবান জানান। এ ছাড়াও প্রকল্পের কাজে স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে স্থানীয় প্রশাসন, বিভিন্ন পেশা ও শ্রেনীর মানুষকে কার্যক্রমে সম্পৃক্ততা আরো বাড়ানোর আহবান জানান।
সভায় বিশেষ অতিথিগন তাদের বক্তব্যে উপকারভোগীদের আজকের কর্মশালার মাধ্যম্যে সৃষ্টি সংযোগ রক্ষা করে চলার জন্য অনুরোধ করেন এবং স্থানীয় পর্যায়ে উন্নয়ন কার্যক্রম জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী হস্থশিল্প ও টেইলারিং উৎপাদকরা বাজারে পণ্য বিপণনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জসমূহ তুলে ধরেন। এর মধ্যে সীমিত বাজার সংযোগ, ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণ এবং ক্রেতাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের ঘাটতি উল্লেখযোগ্য। আলোচনায় এসব সমস্যা সমাধানে উৎপাদক দল গঠন, ক্রেতা-বিক্রেতা সংযোগ সভা আয়োজন এবং নিয়মিত দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
কর্মশালার শেষাংশে সকল অংশগ্রহনকারী প্রকল্পের উৎপাদকদের বাজার সংযোগ জোরদার, স্থানীয় পণ্যের প্রচার ও প্রসার এবং টেকসই জীবিকায়ন নিশ্চিত করতে সম্মিলিতভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

কর্মশালার সভাপতি ও হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আলী বলেন, মুক্তি কক্সবাজার ২০১৭ সালে এ দেশে রোহিঙ্গা আগমনের পরপরই এ ইউনিয়নে কার্যক্রম শুরু করেন যা আজো চলমান। তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন যে, মুক্তি কক্সবাজার যেভাবে স্বচ্ছতার সাথে এবং ইউনিয়ন পরিষদকে সাথে নিয়ে কাজ করে এভাবে সকল এনজিও কাজ করলে হ্নীলা ইউনিয়নের হতদরিদ্র জনগনের ভাগ্য উন্নয়ন দ্রুত সম্ভব। আপনি যেহেতু টেকনাফ উপজেলায় কর্মরত এনজিওদের সমন্বয়ক তাই হ্নীলা ইউনিয়নে কার্যক্রম আরো বৃদ্ধিও জন্য অনুরোধ জানান।

এ ছাড়াও কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা- নেজাম উদ্দিন এবং আনোয়ার হোসেন, হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ বশির উদ্দিন, বেলাল উদ্দিন, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এবং প্রকল্পের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।