নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের রেজু আমতলী বিওপি সদস্যদের সাথে মাদক কারবারিদের গোলাগুলির ঘটনায় এক মাদক কারবারি নিহত হয়েছে৷ এসময় তার নিকট থেকে ৮০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার। ১টি এক নলা বন্দুক ও ২ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেছে।
বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে।
কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উখিয়া খবর’কে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি’র সদস্যরা জানতে পারে কতিপয় ইয়াবা ব্যবসায়ী বিপুল পরিমাণ ইয়াবা নিয়ে মিয়ানমার হতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে রেজুআমতলী বিওপি’র একটি আভিযানিক টহল দল সীমান্ত পিলার -৩৮ হতে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যান্তরে এবং বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৩ নং ঘুমঘুম ইউনিয়নের বাইশাড়ী এলাকার আমবাগান নামক স্থানে পাহাড়ের ঢালুতে অবস্থান নেন। ৫/৬ জনের ১ টি দল পাহাড়ী এলাকা দিয়ে বাংলাদেশের দিকে আসতে দেখে তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে তারা দুইভাগে বিভক্ত হয়ে তাদের হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে টহল দলকে লক্ষ্য করে এলােপাথাড়ি গুলি বর্ষণ শুরু করে। এ সময় টহল দল তাদের জান-মাল রক্ষার্থে পাল্টা গুলি করে । এক পর্যায়ে অজ্ঞাতনামা ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পাহাড়ী জঙ্গলের মধ্য দিয়ে মায়ানমারের ভিতরে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে টহল দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে অজ্ঞাতনামা ১ জন ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় এবং তার পার্শ্বে ইয়াবা সদৃশ বস্তু ও দেশীয় তৈরী একনলা বন্দুক পড়ে থাকতে দেখে । দ্রুত আহত ব্যক্তির জীবন রক্ষার্থে চিকিৎসার জন্য উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার নাম ও ঠিকানা নিম্নরুপ বলে জানা যায়। সে কুতুপালং লম্বাশিয়া রােহিঙ্গা ক্যাম্পের সৈয়দ আলমের পুত্র মােঃ ইব্রাহিম (৩০) বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বিবিজি সুত্র আরো জানায় উক্ত গােলাগুলির ঘটনায় ২ জন বিজিবি সদস্য আহত হয় এবং আহত বিজিবি সদস্যদের উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হতে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
Share this:
Leave a Reply