1. akfilmmultimedia@gmail.com : admin2020 :
  2. teknafchannel71@gmail.com : teknaf7120 :
শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ০২:৪৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

টেকনাফে প্রকৃত জেলেদের তালিকা প্রণয়ন করে সরকারি ত্রাণ-সহয়তা প্রদান ও মাছ শিকার প্রসঙ্গে

  • আপডেট সময় : সোমবার, ২৪ মে, ২০২১
  • ২৭২ বার পড়া হয়েছে

সম্পাদকীয়

টেকনাফ উপজেলার নাফ নদীতে চার বছরের অধিক মৎস্য শিকারে নিষেধাজ্ঞা ও প্রতিবছরের ন্যায় সরকারের ৬৫ দিনের মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে মৎস্য শিকার করে জীবিকা নির্বাহকারী প্রকৃত জেলেরা মানবেতর জীবনযাপন করছে।

নাফ-নদী মায়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তের মধ্যবর্তীতে অবস্থিত হওয়াই এই নদীকে ঘিরে একটি চোরাকারবারি চক্র দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয় আছে এখানে চোরাচালানের সম্ভাবনা সব সময় আছে এবং প্রতিনিয়ত চোরাচালান হচ্ছেও। সেটা মাদক বা অন্য কিছু হতে পারে, যেটা অতীত থেকে হয়ে আসছে এমতাবস্থায় মাদক এর পাচার বন্ধ এবং রোহিঙ্গা বিষয়ে চিন্তা করে সরকার তথা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মাছ শিকার বন্ধ রেখেছেন।

দীর্ঘ চার বছর বন্ধ থাকার পরে যে উদ্দেশ্যে বন্ধ রাখা হয়েছিল সেটা পরিপূর্ণ ভাবে সফল হয়েছে বলা যাবে না। একটা বিষয় আমি এখানে উল্লেখ করতে চাই নাফ নদী ছাড়াও বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্টে বড় বড় মাদকের চালান আটক হচ্ছে এবং মাদক পাচার হচ্ছে এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অবগত আছেন এবং অত্র কক্সবাজার জেলার জনসাধারণ কমবেশি সবাই জানে।

তাই বলে কি বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার বন্ধ আছে?

আমাদের দেশে প্রতিবছর মাছের প্রজননের জন্য মৎস্য অধিদপ্তর একটি নির্দিষ্ট সময় জেলেদের মাছ শিকারের উপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে থাকে। এই সময়েই জেলেদের দুঃখ-দুর্দশা নিয়ে জাতীয়ভাবে প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় অনেক গুরুত্ব সহকারে সংবাদ প্রকাশিত হয় এবং তাদেরকে সরকার যতটুকু পারে সাহায্য সহযোগিতাও করে থাকে ।

আমাদের টেকনাফের হাজার হাজার প্রকৃত জেলেরা আজকে যে দীর্ঘ চার বছর ধরে মাছ শিকার করতে না পেরে মানবেতর জীবনযাপন করছে।

টেকনাফে একটি নির্ভুল প্রকৃত জেলেদের তালিকা করা প্রয়োজন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রধান করে জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধির মাধ্যমে যাচাইবাচাই করে একটি নির্ভুল প্রকৃত জেলের তালিকা প্রণয়ন করা যেতে পারে। সাগরে মাছ শিকার এর নিষেধাজ্ঞার এই সময়ে জেলেরা সবাই ঘরেই আছে। এখনই প্রকৃত জেলেদের তালিকা নির্ভুল ভাবে প্রণয়ন করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি সাগরে মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে সরকারের ত্রাণ সহায়তা যাতে প্রকৃত জেলেরা পায়, সে বিষয়টিও গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে।

এই বিষয়টি আমি সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই

“জীবন-জীবিকা আমাদের মৌলিক অধিকার”
আমাদের প্রকৃত জেলেদেরকে মাছ শিকার করতে দেওয়া হউক।

পাশাপাশি মাদক চোরাকারবারীরা যাতে জেলের বেশে বা জেলেদের মাধ্যমে অথবা জেলেদেরকে ব্যবহার করে মাদক পাচার করতে না পারে সেই বিষয়ে প্রকৃত জেলেদেরকে যদি কোনো ধরনের নিয়ম নীতির মধ্যে আনতে হয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেই নিয়মনীতি আরোপ করে জেলেদেরকে নাফ নদীতে মাছ শিকার করতে দিবে এই প্রত্যাশা করছি ।

এই বিষয়ে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি কামনা করছি।

সাইফুদ্দিন খালেদ,
পিতা- মরহুম হাজী আব্দুল গনি (সাবেক সাংসদ উখিয়া-টেকনাফ) সভাপতি,
সেক্টর কমান্ডার’স ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ ‘৭১
টেকনাফ উপজেলা ও সম্পাদক টেকনাফ ৭১ ডটকম
২৪/০৫/২০২১ইং।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর