1. akfilmmultimedia@gmail.com : admin2020 :
  2. teknafchannel71@gmail.com : teknaf7120 :
রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ওসি প্রদীপের সাজাপ্রাপ্ত স্ত্রী চুমকির জামিন টেকনাফ লেঙ্গুরবিল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বশির আহমদ আর নেই : বাদ মাগরিব জানাজা টেকনাফে অস্ত্র ঠেকিয়ে দুই কৃষক অপহরণ জুলাই বিপ্লবের পরে হ্নীলা পরিষদে নাগরিক সেবা বঞ্চিত মানুষ! ভিডব্লিউবি চাল বিতরণে হট্রগোল টেকনাফে কিশোরকে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ, রাষ্ট্রপক্ষকে খোঁজ নিতে বললেন হাইকোর্ট শীর্ষ মানব পাচারকারীর বিরুদ্ধে মামলা না নেওয়ায় টেকনাফে থানার সামনে বিচার চেয়ে মানবন্ধন দীর্ঘ ১৬ বছর পুলিশের বন্দুক যুদ্ধের বুলেট বুকে নিয়ে রাজনীতি করেছি : আব্দুল্লাহ টেকনাফ থেকে পায়ে হেঁটে তেঁতুলিয়ার উদ্দেশ্যে সেই যুবতী তাহুরা জুলাই বিপ্লবের পরে টেকনাফে ৩৩ মামলায় ৭৫ জন গ্রেফতার ৫ অস্ত্র, ৫১ গুলি,৪০ হাজার ইয়াবা সহ ১০০ লিটার মদ উদ্ধার টেকনাফে সিএনজি গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ১৮৯৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার

সাবরাংয়ে বসতবাড়ী দখলে নিতে শরীফ মেম্বার আমার ১৫ মাসের শিশু ও বৃদ্ধ স্ত্রীকে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়েছে! প্রতিবন্ধী জামাল

  • আপডেট সময় : রবিবার, ২ মে, ২০২১
  • ৩৫৩ বার পড়া হয়েছে

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন, টেকনাফ

কক্সবাজার টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নে ২ হাজার পিস ইয়াবাসহ আনোয়ারা বেগম নামে এক মহিলা আটক করার ঘটনায় ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।

গত ২৬ এপ্রিল (সোমবার) রাত ৯ টায় সাবরাং ডেইল পাড়ার নিজ বাড়ি থেকে আনোয়ারা বেগমকে আটক করা হয়।

আনোয়ারা বেগমের (৪৩) পরিবারের অভিযোগ জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে শত্রুতা মুলকভাবে শরীফ মেম্বার পুলিশকে ম্যানেজ করে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়েছে।এনিয়ে এলাকাবাসীর মঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

আটক আনোয়ারা বেগমের স্বামী মোঃ জামালের অভিযোগে জানা যায়,২০০৬ সালে শরীর মেম্বারের সাথে আমি ঝিনুকের ব্যবসা করতাম।শরীফ বলির সঙ্গে টাকার হিসাব নিয়ে মনমালিন্য হলে আর ব্যবসা করিনি তার সঙ্গে।তার পর থেকে আমি দুইটা মহিষ পালন করছিলাম তখন সম্প্রীতি সময়ে আমি গরুর বাজার ডাক দিয়েছিলাম তখন শরীফ মেম্বার জোর পূর্বক ভাবে বাজারটি নিয়ে ফেলেছে।আমি একটি লিখিত ভাবে স্টাম্প জমা

দিয়েছিলাম ৬ শতক জমি বিক্রি করেছিলাম আরেকটি ৯শতক জমির স্ট্যাম্প জমা দিয়েছিলাম শরীর মেম্বারেকে।সেই ৯ শতকের জমির স্ট্যাম্পটি হারিয়ে গিয়েছে বলে জমি গুলো দখল করে এখন বর্তমান যে জায়গায় গুলোতে মার্কেট আছে।বর্তমান বাড়ির ৬ শতক জমি ও দখল করে শরীর মেম্বার। আমার কোনো কাগজপত্র না থাকায় সেই সব জায়গায় দখল করে নেয়। আমি কোন প্রশাসকে দোষ চাপিয়ে দিচ্ছি না।

আমি একজন পুংগ মানুষ আমি চ্যালেঞ্জ
করে বলতেছি আমার পরিবার কোন ইয়াবা ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত নাই।শরীফ মেম্বারের প্রতিদ্বন্ধী মেম্বার প্রার্থী সাব্বিরকে টাকা দিয়েছি বলে ও তার জন্য নির্বাচন কেন করতেছি বলে হুমকি দিয়েছিলেন শরীর মেম্বার। তাই শরীর মেম্বার ষড়যন্ত্র ভাবে পুলিশকে ম্যানেজ করে আমার স্ত্রী আনোয়ারা বেগমকে ইয়াবা দিয়ে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আনোয়ারা বেগমের ছেলে তারেক ( ১৩) বলেন,,আমাদের একটি নিজস্ব পানের দোকান আছে। আমি দোকান থেকে রাত আট টায় চলে আসি বাড়িতে। হঠাৎ পুলিশ বাড়িতে ঢুকে পড়ে আমার আম্মুকে বলতে থাকে ইয়াবা কোথায়, কোথায়, তখন আমাকেই পুলিশ থাপ্পর দিয়ে অন্য রুমে নিয়ে যায়। সব কিছু তল্লাশি করতেছে তখন পুলিশ  চুপি ,চুপি কথা বলতেছে হঠাৎ বলতেছে ইয়াবা পাইছি।তখন তাদের হাত দিয়ে১০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে বলে সবাইকে একটি একটি গননা করে আতেপাশের লোকজন কে দেখাইছে। তখন আম্মুকে থানায় নিয়ে যায়।
আমি আমার আম্মুর ও আমার ১৬ মাসের অবুঝ ছোট ভায়ের মুক্তি চাই। আর জড়িতদের শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।

প্রতিবেশী ছৈয়দুল ইসলাম বলেন, আমরা জানি আনোয়ারা বেগমের বাড়িতে ইয়াবা পেল একশ পিস। একশত ইয়াবা থেকেই কিভাবে দুই হাজার হয়ে গেল এই কারনেই আমাদের মাঝে সন্দেহ বিরাজ করতেছে সব কিছু সাজানো নাটক। মূলত শরীফ মেম্বার ইয়াবা দিয়ে চালান করছে।

আনোয়ারা বেগমের স্বামী একজন পুংগ ও বৃদ্ধ মানুষ।ছোট ছেলেটি একটি ছোট পানের দোকান করে।এলাকায় সে একজন পুংগ মানুষ হিসেবে পরিচিত।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানদার জানান,,এলাকার শরীফ মেম্বার সঙ্গে জামালের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। শরীফ মেম্বার বিভিন্ন সময় বৃদ্ধ জামালের পরিবারের ক্ষতি করার চেষ্টা চালিয়ে আসছে। বিরোধের জের ধরে জামালের স্ত্রী আনোয়ারা বেগমকে মাদক দিয়ে ধরিয়ে দিয়েছে বলে আমরা সবাই মন্তব্য করতেছি।

আনোয়ারা বেগমের স্বামী মোঃ জামাল বলেন,, আমরা গরিব মানুষ, আমাদের কথা কেউ শোনে না। আমাদের বিপদে ফেলার চেষ্টা আগেও অনেকবার করেছে শরীফ মেম্বার।পুলিশ বাড়িতে ইয়াবা পাইছে বলে লোকজন ডেকে যা দেখিয়েছে। সবকিছু সাজানো নাটক। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত আমি তাদের বিচার চাই। আমার নিরিহ পরিবার! আমার স্ত্রীর মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

এছাড়াও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক মহিলা জানান, ওর পরিবার নিরিহ হিসেবে পরিচিত।তারা কোনদিন ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত শুনেনি।কখনো ইয়াবা বিক্রি করতেও কেউ দেখেনি। তারা ইয়াবা ব্যবসা করে এটা কেউ বিশ্বাস করবে না। অন্যায়ভাবে আনোয়ারা বেগমকে আটক করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে শরীফ মেম্বারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে জানান, আমি তাহাকে ইয়াবা দিয়ে আটক করাই নি। আপনার আবার এলাকায় এসে তদন্ত করে দেখেন।

এ বিষয়ে মামলার বাদী টেকনাফ মডেল থানার এস আই মোঃ মিল্টন মন্ডল জানান, আমরা বাড়িতে ইয়াবা মজুদের খবরে পুলিশ অভিযানে বাড়িতে ইয়াবাসহ আটক করেছে পুলিশ। এখানে আমাদের কিছুই করার নেই। পুলিশ কাউকে মাদক দিয়ে আটক করে না। যার কাছে মাদক পাওয়া যায় তাকেই গ্রেফতার করে। তবে শরীফ মেম্বার বিষয়টি তদন্ত চলছে।####

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর
error: Content is protected !!